গাজার জন্য মানবিক সহায়তা ও কর্মীদের বহনকারী একটি জাহাজে ড্রোন হামলা হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) ভোরে মাল্টার কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন দিয়ে জাহাজটিতে বোমা ফেলা হয়।
ত্রাণ কার্যক্রমের আয়োজকরা অভিযোগ করেছেন, এর জন্য ইসরায়েল দায়ী। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাটি বিভিন্ন সময় গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
মাল্টার সরকার জানিয়েছে, কাছাকাছি একটি টাগবোটের সহায়তায় অগ্নিনির্বাপণের পর জাহাজটি নিরাপদ স্থাপনে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এর ক্রুদের উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এনজিও এবং সুইডিশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেছেন, জাহাজটি এখনো বিপদে রয়েছে। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি মাল্টায় ছিলেন এবং ফ্রিডম ফ্লোটিলার গাজার সমর্থনে পরিকল্পিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাজে উঠার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ করে।
এনজিওটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। অন্ধকারে ধারণ করায় তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। এতে তাদের একটি জাহাজ কনসায়েন্সে আগুন দেখা যায়। ফুটেজে জাহাজের সামনে আকাশে আলো এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
তারা বলেছে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের তলব করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জবাবদিহি করতে হবে। গাজার চলমান অবরোধ এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় আমাদের বেসামরিক জাহাজে বোমা হামলা মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে শুক্রবার ভোর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে দুপুর নাগাদ ৪২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, ভোরের দিকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে নিহতের খবর আসছে।
চিকিৎসা সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, ভোর থেকে উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আজ মধ্য গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে।
মন্তব্য করুন