যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ ইরানে হামলা চলবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।শুক্রবার (১৩ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক স্থাপনায় এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। যতক্ষণ না আমরা আমাদের মিশন শেষ না হয় ততক্ষণ এই অভিযান চলবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার দেশজুড়ে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ জারির ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার শঙ্কায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন বলছে, তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানজুড়ে ৬-৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল কিছু আবাসিক ভবনও।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়। তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ইসরায়েল এমন এক সময়ে ইরানে হামলা করল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। পারমাণবিক কর্মসূচি হ্রাস করার জন্য একটি কূটনৈতিক চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হতে চাইছেন তিনি। আগামী রোববার (১৫ জুন) ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বৈঠক হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে গেলে হামলার হুমকি আগেই দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দফায় দফায় জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলকে আগ বাড়িয়ে হামলা থেকে বিরত রেখেছেন তিনি। তবে এবার মনে হচ্ছে, ইসরায়েল বড় ধরনের আক্রমণ করতে উদ্ধত।
এর আগে, গত বুধবার (১১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ইসরায়েল নতুন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা যেকোনো সময় ইরানে হামলা করতে পারে। সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, আগামী দিনে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে ইসরায়েল। মার্কিন সমর্থন ছাড়াই তারা হামলা করবে।
এদিকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কর্মী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের ইরাক থেকে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন