ইরানের মিসাইল বৃষ্টি থেকে বাঁচতে রাতের ঘুম হারাম করে ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর দিকে ছুটতে হয়েছে। তবুও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়নি। ইসরায়েলে গতকাল শনিবার রাতে একের পর এক হামলা হয়েছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এ হামলায় যখন ইসরায়েল দিশেহারা তখন জানা গেল ইয়েমেন থেকেও মিসাইল আঘাত হেনেছে।
রোববার (১৫ জুন) দ্য টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, ইয়েমেনের হুতিরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। একই সময় ইরানের হামলা চলছিল। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলে হামলা চালায় হুতিরা।
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতিরা দাবি করেছে, তারা ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলআবিব অঞ্চলে সংবেদনশীল ইসরায়েলি শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
দাবি সত্ত্বেও সামরিক কর্মকর্তারা টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইয়েমেন থেকে কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়ে আইডিএফ অবগত নয়। কেবল শুক্রবার হুতিদের দ্বারা ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিম তীরের একটি ফিলিস্তিনি শহরে আঘাত হানে। যার ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
তবে ফিলিস্তিনি শহরে আঘাত হানা এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের দায় গোষ্ঠীটি স্বীকার করেনি। তারা বলেছে, ইসরায়েলের স্থাপনা ধ্বংস করাই তাদের লক্ষ্য।
গত রাতে এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার মুখোমুখি হয় ইসরায়েল। ভোরের আলো ফুটতেই সেই ক্ষত দৃশ্যমান হচ্ছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
রাতে হাইফা, তেলআবিব, বাত ইয়াম, জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে আঘাত হানে ইরানের মিসাইল।
এ ছাড়া ইসরায়েলের বাত ইয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়নেট। হোম ফ্রন্ট কমান্ডের অনুমান, তেলআবিবের ঠিক দক্ষিণে বাত ইয়ামে হামলার স্থানে ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
মন্তব্য করুন