যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু করেছে, তা লেবাননকে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতায় ফেলতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, হিজবুল্লাহ কি এ যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে কিনা।
শনিবার লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ অউন বলেন, ‘ইরানে যে হামলা হচ্ছে, তা শুধু ওদের ওপরই হচ্ছে না; এটা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ওপরও আঘাত।’
পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরিও এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল স্বতন্ত্র দেশ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে পরিণত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম ও অপর কর্মকর্তারাও বলেছেন, এ হামলা সমগ্র অঞ্চলে অস্থিরতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে।
লেবানন সরকার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সম্পূর্ণভাবে ইরান ও ওর নেতৃত্ব ও জনগণের সাথে রয়েছে। তারা মনে করে, এ হামলা আন্তর্জাতিক আইনকে অগ্রাহ্য করে ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।
সূত্র বলছে, লেবানন সেনাবাহিনী ও হিজবুল্লাহ ঘন ঘন কথা বলছে, কিন্তু হিজবুল্লাহ যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আগামী সপ্তাহে মার্কিন বিশেষ দূত টম ব্যারাক লেবানন সফর করবেন। অনেকে বলছেন, ওয়াশিংটন চাইছে লেবাননকে চাপ দিতে, যাতে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করা হয় এবং লেবাননকে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে বাধ্য করা যায়।
অন্যদিকে, লেবাননের দক্ষিণ ও বৈরুতের উপশহরগুলোতে মানুষজন আনন্দ প্রকাশ করে বলেছেন, তারা ইসরায়েলকে দুর্বল হতে দেখতে চান।
ইরান যে ইসরায়েলের জাফা ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তা ওয়াশিংটন ও অপরাধীদের জন্য অপমানজনক বলেছে তারা। অনেক সমর্থক সমবেত হয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় ও আনন্দ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে হিজবুল্লাহর মহাসচিব শহীদ হাসান নাসরাল্লাহর সমাধিতে অগণিত মানুষ সমবেত হন ও দোয়া ও স্মরণ সভায় অংশ নেন।
তথ্যসূত্র: তেহরান টাইমস
মন্তব্য করুন