ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর নাগরিকদের নিরাপত্তায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। দূতাবাস থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সংঘাত শুরুর পর পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশে পালিয়েছেন শত শত বিদেশি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে ইরান থেকে প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজানে পালিয়ে এসেছেন শত শত বিদেশি নাগরিক। এএফপি নিউজ এজেন্সিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৭টি দেশের ৬০০-এর বেশি নাগরিক ইরান থেকে আজারবাইজানের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ক্যাস্পিয়ান সাগর উপকূলের আস্তারা চেকপয়েন্ট দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করা এই উদ্বাস্তুদের বাকু বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর সেখান থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠানো হচ্ছে ।
সরিয়ে নেওয়াদের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, সার্বিয়া, রোমানিয়া, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন এবং ভিয়েতনামের নাগরিক।
এদিকে ইরানে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আরব ও মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো। মঙ্গলবার ২০টি আরব ও মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানান তারা।
যৌথ এ বিবৃতিতে অংশ নিয়েছেন- মিসর, জর্ডান, পাকিস্তান, বাহরাইন, ব্রুনাই, তুরস্ক, চাদ, আলজেরিয়া, কোমোরোস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিবুতি, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, ইরাক, ওমান, কাতার, কুয়েত, লিবিয়া এবং মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে বিপজ্জনক সংঘর্ষ ও উত্তেজনা চলছে তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা বলেন, প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সুসম্পর্ক রক্ষার নীতিকে সম্মান জানানো উচিত। সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির পথে এগিয়ে যেতে হবে।
বিবৃতিতে তারা মধ্যপ্রাচ্যকে পারমাণবিক ও অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে মুক্ত করার গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি দেশগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটিতে) যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য করুন