শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫, ১১:১২ এএম
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অজানা ভয় সঙ্গী করে ঘরে ফিরছেন তেহরানের মানুষ

নিহতদের স্মরণে তেহরানে সমাবেশ। ছবি : সংগৃহীত
নিহতদের স্মরণে তেহরানে সমাবেশ। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির পর ইরানিরা ফিরছেন ঘরে। তাদের চিরপরিচিত তেহরান শহর আর আগের মতো নেই। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ধ্বংসস্তূপ। সবার মনে এখনো এক অজানা ভয়।

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত থেমে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে রাজধানী তেহরানে ফিরতে শুরু করেছেন সেখান থেকে সরে যাওয়া বাসিন্দারা। কিন্তু তারা ফিরে পাচ্ছেন বদলে যাওয়া এক শহর আর অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ।

এ ছাড়া সংঘাতের সময় ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইরানে গণগ্রেপ্তার চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রেকর্ড দ্রুত সময় বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে, কে কখন গ্রেপ্তার হবেন এবং ফাঁসিতে ঝুলবেন, তা বোঝার উপায় নেই। ইরানি সরকার এসব দণ্ড কার্যকরে আগে থেকে স্পষ্ট ঘোষণা না দেওয়ায় অনেকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তেহরানে ঢোকার মহাসড়কগুলো এখন আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। গাড়িতে আছে পরিবারের সদস্যরা, স্যুটকেস, আর একটুখানি আশা। হয়তো এবার থাকার ঘরটা আবার নিরাপদ হবে। ১২ দিনের যুদ্ধে প্রাণ গেছে ছয় শতাধিক ইরানির, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বহু মানুষ।

যারা ফিরছেন, তাদের চারপাশে স্পষ্ট ইসরায়েলি বিমান হামলার ক্ষতচিহ্ন। এই ফেরা যেন শুধু নিজের বাড়িতে নয়, এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা।

৩৩ বছর বয়সী গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিকা বলেন, ‘এতদিন পর নিজের বিছানায় ঘুমাতে পারা যেন স্বর্গে ফিরে আসার মতো।’ তিনি ও তার স্বামী প্রায় দুই সপ্তাহ আত্মীয়ের বাড়িতে কাটিয়েছেন, রাজধানী থেকে ২৮৬ কিলোমিটার দূরে।

তবে নিকার উদ্বেগ নিয়ে বলেন, ‘আমি জানি না এই যুদ্ধবিরতি আসলেই টিকবে কি না।’

১৩ জুন ভোরে ইসরায়েলের বিমান হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এটিকে ‘পারমাণবিক স্থাপনায় প্রতিরোধমূলক আঘাত’ বলে উল্লেখ করেন। এরপর দুই দেশের মধ্যে চলে প্রবল গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা-পাল্টা হামলা।

ইসরায়েল যখন তেহরানের আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় এবং মার্কিন-ইসরায়েলি নেতারা রাজধানী খালি করার আহ্বান জানান, তখন আতঙ্কিত মানুষজন আশ্রয়ের খোঁজে শহর ছেড়ে ছোটেন গ্রাম ও অন্যান্য নগরে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাবা বলেন, ‘যুদ্ধের আগে জীবন ছিল ব্যস্ত—চাকরি, পড়াশোনা, একা থাকা, সবই একসঙ্গে সামলাচ্ছিলাম। প্রথম কিছুদিন বিশ্বাসই হয়নি যে, এই রুটিন থেমে যাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝে গেছি, জীবন সত্যিই থেমে যাচ্ছে।’ যুদ্ধের পঞ্চম দিনে তাকেও তেহরান ছাড়তে বাধ্য হতে হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ইরানে ইসরায়েলের হামলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

১০

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

১১

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১২

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১৩

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১৪

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

১৫

বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী : ব্যারিস্টার অসীম

১৬

প্রত্যেক উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

১৭

বিশ্বকাপ দলে ডাক পেলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা

১৮

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হতে যাচ্ছে : প্রেস সচিব

১৯

ছুটির দিনেও জমজমাট চাকসুর নির্বাচনী প্রচার

২০
X