কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫, ১১:১২ এএম
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অজানা ভয় সঙ্গী করে ঘরে ফিরছেন তেহরানের মানুষ

নিহতদের স্মরণে তেহরানে সমাবেশ। ছবি : সংগৃহীত
নিহতদের স্মরণে তেহরানে সমাবেশ। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির পর ইরানিরা ফিরছেন ঘরে। তাদের চিরপরিচিত তেহরান শহর আর আগের মতো নেই। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ধ্বংসস্তূপ। সবার মনে এখনো এক অজানা ভয়।

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত থেমে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে রাজধানী তেহরানে ফিরতে শুরু করেছেন সেখান থেকে সরে যাওয়া বাসিন্দারা। কিন্তু তারা ফিরে পাচ্ছেন বদলে যাওয়া এক শহর আর অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ।

এ ছাড়া সংঘাতের সময় ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইরানে গণগ্রেপ্তার চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রেকর্ড দ্রুত সময় বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে, কে কখন গ্রেপ্তার হবেন এবং ফাঁসিতে ঝুলবেন, তা বোঝার উপায় নেই। ইরানি সরকার এসব দণ্ড কার্যকরে আগে থেকে স্পষ্ট ঘোষণা না দেওয়ায় অনেকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তেহরানে ঢোকার মহাসড়কগুলো এখন আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। গাড়িতে আছে পরিবারের সদস্যরা, স্যুটকেস, আর একটুখানি আশা। হয়তো এবার থাকার ঘরটা আবার নিরাপদ হবে। ১২ দিনের যুদ্ধে প্রাণ গেছে ছয় শতাধিক ইরানির, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বহু মানুষ।

যারা ফিরছেন, তাদের চারপাশে স্পষ্ট ইসরায়েলি বিমান হামলার ক্ষতচিহ্ন। এই ফেরা যেন শুধু নিজের বাড়িতে নয়, এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা।

৩৩ বছর বয়সী গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিকা বলেন, ‘এতদিন পর নিজের বিছানায় ঘুমাতে পারা যেন স্বর্গে ফিরে আসার মতো।’ তিনি ও তার স্বামী প্রায় দুই সপ্তাহ আত্মীয়ের বাড়িতে কাটিয়েছেন, রাজধানী থেকে ২৮৬ কিলোমিটার দূরে।

তবে নিকার উদ্বেগ নিয়ে বলেন, ‘আমি জানি না এই যুদ্ধবিরতি আসলেই টিকবে কি না।’

১৩ জুন ভোরে ইসরায়েলের বিমান হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এটিকে ‘পারমাণবিক স্থাপনায় প্রতিরোধমূলক আঘাত’ বলে উল্লেখ করেন। এরপর দুই দেশের মধ্যে চলে প্রবল গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা-পাল্টা হামলা।

ইসরায়েল যখন তেহরানের আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় এবং মার্কিন-ইসরায়েলি নেতারা রাজধানী খালি করার আহ্বান জানান, তখন আতঙ্কিত মানুষজন আশ্রয়ের খোঁজে শহর ছেড়ে ছোটেন গ্রাম ও অন্যান্য নগরে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাবা বলেন, ‘যুদ্ধের আগে জীবন ছিল ব্যস্ত—চাকরি, পড়াশোনা, একা থাকা, সবই একসঙ্গে সামলাচ্ছিলাম। প্রথম কিছুদিন বিশ্বাসই হয়নি যে, এই রুটিন থেমে যাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝে গেছি, জীবন সত্যিই থেমে যাচ্ছে।’ যুদ্ধের পঞ্চম দিনে তাকেও তেহরান ছাড়তে বাধ্য হতে হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ইরানে ইসরায়েলের হামলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমরা কোনো অবিচার চাই না : ডা. শফিকুর

ইনকাম ট্যাক্সে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি সুবিধাভোগী চক্র আন্দোলন করছে : রিজভী 

যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ রপ্তানিতে রাজি চীন

দুই সপ্তাহে পদ্মায় বিলীন ৫ হাজার একর ফসলি জমি

তাইজুলের ফাইফারের পরও লঙ্কানদের বড় লিড

যশোরে সৌদি খেজুর উৎপাদনে সফল নারী উদ্যোক্তা

রোনালদোর নতুন চুক্তি: দুই দিনেই আয় ১৩ কোটি টাকা!

ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার নতুন তথ্য প্রকাশ পেন্টাগনের

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে তুরস্ক, পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৫০ বছর পর ফের প্রেক্ষাগৃহে ‘শোলে’

১০

‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা হিরো আলমের

১১

পিএসজির বিরুদ্ধে ‘নৈতিক হয়রানির’ মামলা করলেন এমবাপ্পে

১২

৩৬ দিনব‍্যাপী জুলাই অভ্যুত্থান উদ্‌যাপন করবে এবি পার্টি

১৩

‘ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে সর্বোচ্চ ছাড় দেবে জামায়াত’

১৪

সামাজিক ব্যবসা বিশ্বকে বদলে দিতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

হামলা করতে গিয়ে তেহরানের প্রেমে পড়েছেন ইসরায়েলের পাইলট

১৬

রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে ফটোগ্রাফারকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড

১৭

এনসিপির মিডিয়া সেলের দায়িত্বে যারা

১৮

বিচ্ছেদ ঠেকাতে কাজলের টোটকা

১৯

তাইজুলের ঘূর্ণিতে ফিরল আশা, তবে লিডে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

২০
X