তুরস্কের একাধিক প্রদেশে এই সপ্তাহে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতি ঘণ্টায় আগুন নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। তা ঠেকাতে ফায়ারফাইটাররা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে আবাসিক এলাকায় আগুন ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষও অনেককে সরে যেতে বাধ্য করছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) টার্কি টুডে জানিয়েছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেক দর্শনার্থী ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইজমির, মুগলা, আন্টালিয়া, কানাক্কালে, বিলেসিক, হাতায় এবং সাকারিয়ায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। তবে বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
দমকল কর্মীরা বেশিরভাগ ঘটনায় দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু শুষ্ক পরিস্থিতি, প্রচণ্ড তাপ এবং তীব্র বাতাস আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এর মধ্যে ইজমিরের আলিয়াগা জেলায় সবচেয়ে বড় দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। বাতাসের কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ফোকার ইলিপিনার পাড়ায়।
জানা গেছে, বোজকয় এবং হোরোজগেদিগির কাছে একটি গ্রামীণ বনাঞ্চলে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তীব্র বাতাস এবং কম আর্দ্রতার কারণে তা ছড়িয়ে পড়ে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ১৭৫টি বাড়ি থেকে ৫৫০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেককে ফোকার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যরা আশপাশের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন।
গভর্নর সুলেমান এলবান বলেন, মৌসুমি গড়ের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার তীব্র হ্রাসের কারণে আগুন লেগেছে। আমাদের কর্মীরা দ্রুত সাড়া দিচ্ছে। আশা করি, ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই আগুন নেভানো যাবে।
মন্তব্য করুন