ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতে জয়ী হয়নি কেউ, এমনটাই বিশ্বাস অন্য আরব দেশগুলোর। পরম শত্রু দুই দেশের সংঘাতের মধ্যেও যেন ফায়দা লোটার চিন্তায় উপসাগরীয় দেশগুলো।
কয়েক বছর আগেও ইয়েমেনের মিসাইল আর ড্রোন ভূপাতিত করতে হতো সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। ১৩ জুন তেহরানে যখন ধোঁয়া উড়ছিল, তখন তা ছিল এই দুই দেশের নেতাদের কাছে অনেকটাই অপরিচিত।
ইরানের দুর্বল আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে অনায়াসে দেশটিতে হামলা চালায় ইসরায়েল। একে একে নিহত হয় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার আর পরমাণু বিজ্ঞানীরা। ব্যালিস্টিক মিসাইল লঞ্চার ও অস্ত্র গুদামও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সংঘাতের একবারে শেষ পর্যায়ে এসে ইরানে ভারী বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। টার্গেট করা হয় ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পরমাণু স্থাপনা।
কিন্তু এক প্রজন্মের ভেতর এই প্রথম আরব শাসকরা দেখতে পেলেন, প্রচলিত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে কতটা দুর্বল ইসরায়েল। আরবের এক কর্মকর্তার ভাষায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে সমর্থন জুগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ ইহুদি জনগোষ্ঠী। নয়তো তারা টিকত না। আরব নিউজ, মিডল ইস্ট আইসহ বিভিন্ন আরব সংবাদমাধ্যমে বিশ্লেষকদের লেখায় উঠে এসেছে এমন মনোভাব।
অথচ মাত্র দুই সপ্তাহও বহিঃশক্তির মিসাইল হামলা ঠেকানোর শক্তি নেই তেল আবিবের। বিষয়টি এখন প্রমাণিত সত্য। এমনকি যুদ্ধবিরতির জন্য ইরান নয়; ইসরায়েলই হাতে পায়ে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের, এমনটাই মনে করছেন আরব কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন