আরও এক শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ইরান। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শীর্ষ কমান্ডার আলী শাদমানি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) ইরানের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসির খাতাম আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার আলী শাদমানি নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
আইআরএনএ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় শাদমানি নিহত হয়েছেন। এর আগে গত ১৭ জুন ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হামলায় শাদমানিকে হত্যা করা হয়েছে।
শাদমানি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অন্যতম সহযোগী ছিলেন। এছাড়া তিনি দেশটির যুদ্ধকালীন প্রধান কর্মী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার পূর্বসূরি গোলাম আলী রশিদ নিহত হলে তাকে ১৩ জুন খাতাম আল-আম্বিয়ার কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এদিকে ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন বিমান হামলা এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। মার্কিন দাবির বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো অবস্থানে দেশটি নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, যা খুশি তাই তেহরানের কাছ থেকে পাবেন।
ট্রাম্প ফ্লোরিডায় সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের সঙ্গে আমাদের অসাধারণ সাফল্য হয়েছে। তারা খুশি ছিল না, এত বোমাবর্ষণ হয়েছে যে, তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। সে জায়গাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ সেখানে পৌঁছাতেও কয়েক বছর সময় লাগবে।
তেহরানের সঙ্গে আমেরিকার পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, (সফল হামলার পরে) এটি কোনো অগ্রাধিকার নয়। কিন্তু আমরা ইরানের কাছ থেকে যা চাইব তা আমরা পাব।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এবং আশা করি তারা একটি ভালো দেশ পেতে চায়। আপনি জানেন, তারা এখন বিশাল নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে তাদের জন্য কিছু করা খুব কঠিন। আমি হয়তো এমন একটি সময়ের অপেক্ষায় আছি যখন আমরা একসঙ্গে থাকতে পারব এবং তারা তাদের দেশ পুনর্গঠন করতে পারবে।
মন্তব্য করুন