ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কুদস ফোর্সের (আইআরজিসি-কিউএফ) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ২২টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও তুরস্কভিত্তিক এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওএফএসি। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অধীনস্থ অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোলের (ওএফএসি) তথ্যানুযায়ী, ইরানের কুদস ফোর্স অবৈধ তেল বিক্রির মাধ্যমে শত শত মিলিয়ন ডলার আয় করে, যা তারা অস্ত্র কর্মসূচি ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহায়তায় ব্যবহার করে। এই অর্থপ্রবাহকে চালু রাখতে তারা বিভিন্ন ফ্রন্ট কোম্পানি ও অফশোর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আসছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে তুরস্কভিত্তিক 'পুলকুলার এনার্জি', যারা কুদস ফোর্সের সদস্য এবং হিজবুল্লাহ-সংশ্লিষ্ট দালালদের সঙ্গে তেল ক্রয়ের সমন্বয় করত। এ ধরনের চুক্তির অর্থ লেনদেন সম্পন্ন হতো হংকংভিত্তিক কোম্পানি ‘অ্যামিটো ট্রেডিং’ ও ‘পিকওয়ে গ্লোবাল’-এর মাধ্যমে।
এ ছাড়া 'জেটিইউ এনার্জি' এবং 'শেলফ ট্রেডিং' নামের আরও কিছু কোম্পানি নিষিদ্ধ ঘোষিত ইরানি এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে তেলের রাজস্ব সরাতে সহায়তা করেছে। একইসঙ্গে তুরস্কভিত্তিক ‘গোল্ডেন গ্লোব ডেমির চেলিক’-কেও ইরানের তেল ব্যবসার ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে শনাক্ত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ওএফএসি জানিয়েছে, হংকংভিত্তিক ‘ফিউচার রিসোর্স ট্রেডিং’ এবং ‘মিস্ট ট্রেডিং’-সহ আরও কয়েকটি কোম্পানি সরাসরি ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা ইরানের আর্থিক জাল ভেঙে দিতে চাই, যা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের বৈদেশিক অর্থপ্রবাহের ওপর বড় ধাক্কা হতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেতে পারে।
তথ্যসূত্র : শাফাক নিউজ
মন্তব্য করুন