ইসরায়েলের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলির বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরকে নিশানা করে এ হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে এক সপ্তাহে লোহিত সাগরে দুই জাহাজ ডুবিয়ে দেয় হুতিরা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সামরিক চাপ বাড়িয়েছে। গোষ্ঠীটি চলতি সপ্তাহে লোহিত সাগরে দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে। এরপর আবার ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তারা একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে ‘উচ্চমানের সামরিক অভিযান’ চালিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে চলমান হুতিদের হামলার অংশ হিসেবে এই সপ্তাহে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে তারা। সর্বশেষ ‘এটারনিটি সি’ নামের একটি গ্রিক-চালিত এবং লাইবেরিয়া-ফ্ল্যাগধারী পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে অন্তত চার নাবিককে হত্যা করা হয়েছে। জাহাজটিতে মোট ২৫ জন ক্রু ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী টাস্ক ফোর্স ‘এসপিডাস’ জানিয়েছে, ১০ জনকে সমুদ্র থেকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ১১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন হুতিদের হাতে আটক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুতি মুখপাত্র বুধবার দাবি করেন, তারা জাহাজের কয়েকজন ক্রুকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে ইয়েমেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এই দাবি অস্বীকার করে এক্সে হুতিদের ‘জাহাজডুবি ঘটিয়ে, নাবিকদের হত্যা করে ও উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত করে অপহরণ’ করার অভিযোগ এনেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে রোববার হুতিরা আরেকটি জাহাজ ‘ম্যাজিক সিজ’ ডুবিয়ে দেয়। তবে ওই জাহাজের সব নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এই ঘটনার পর হুথিরা ঘোষণা দেয়, ইসরায়েল-সম্পর্কিত কোম্পানির মালিকানাধীন সব জাহাজ এখন থেকে তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু। তারা দাবি করে, গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া এবং অবরোধ না উঠা পর্যন্ত ইসরায়েলি নৌচলাচল বন্ধ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর জবাবে রোববার রাতে ইসরায়েল ইয়েমেনের হোদেইদা, রাস ইসা, আস-সালিফ বন্দরে এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে বোমা হামলা চালায়। হুতিদের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই অভিযান শুরু হয়। ইসরায়েল দাবি করে, তারা ২০২৩ সালের শেষদিকে হুথিদের দ্বারা আটক ‘গ্যালাক্সি লিডার’ জাহাজেও আঘাত হেনেছে।
মন্তব্য করুন