গাজায় ত্রাণ নিতে আসা মানুষদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, তার মর্মান্তিক বর্ণনা দিয়েছেন সাবেক এক মার্কিন সেনা। তিনি জানান, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণ নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই এক শিশুকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। অ্যান্থনি অ্যাগুইলার নামের ওই সেনা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনে কর্মরত ছিলেন।
গত ২৮ মে গাজার দক্ষিণে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে কাজ করছিলেন অ্যাগুইলার। সেদিন তিনি আমির নামের এক শিশুকে সেখানে আসতে দেখেন।
অ্যাগুইলার বলেন, ছেলেটা খালি পায়ে এসেছিল। তার গায়ে ছেঁড়া-ফাটা জামাকাপড়। যা তার কঙ্কালসার গায়ে লেপ্টে ছিল। ১২ কিলোমিটার হেঁটে সে আসে ত্রাণ নিতে। মাটি থেকে সামান্য কিছু খাবার তুলে নিতে পেরেছিল আমির। সে তার কঙ্কালসার, ময়লা দুটি হাত দিয়ে আমার গাল স্পর্শ করে। তারপর আমার হাতে চুমু দিয়ে ইংরেজিতে ধন্যবাদ জানায়।
তবে খাবার নিয়ে শিশুটি কিছু দূরে যাওয়ার পর ওই ভিড় লক্ষ্য করে পিপার স্প্রে, টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গুলিতে সেখানে যত মানুষ নিহত হন, তার মধ্যে আমিরও ছিল।
এদিকে জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্স গাজায় বিমান থেকে সাহায্য ফেলেছে। দেশগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্স গাজা উপত্যকায় আকাশ থেকে মানবিক সাহায্য বিতরণ করল।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দ্য টাইমস অব ইসরায়েল স্থানীয় সূত্রের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করে। তাদের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা ফুটেজে মধ্য গাজার উপর দিয়ে বিমান থেকে সাহায্য পাঠানোর দৃশ্য দেখা গেছে। তবে ভিডিওয়ের দিনক্ষণ উল্লেখ নেই।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ এখনো বিমান থেকে আজকের সাহায্য পাঠানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পূর্বে বলেছে, এটি গাজা উপত্যকায় মানবিক প্রতিক্রিয়া উন্নত করার লক্ষ্যে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ।
প্রসঙ্গত, গাজার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি ও খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রগুলোয় ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফরে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন