দখলদার ইসরায়েলকে পাত্তা না দিয়েই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে, দ্য গ্লোবাল ফ্লোটিলা ফর গাজা নামে একটি বিশাল নৌবহর সমুদ্রপথে যাত্রা শুরু করেছিল। যেটিকে বলা হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র মিশন। এই বহরে ৪৪টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি এবং প্রায় ১০০টি জাহাজ একত্রিত হয়েছে।
গেল ৩১ আগস্ট স্পেন থেকে এই নৌবহরের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম অংশে ডজনখানেক ছোট জাহাজ আছে, যেগুলোতে চিকিৎসক, মানবিক কর্মী এবং জরুরি সাহায্য সামগ্রী রয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর তিউনিশিয়ায় দ্বিতীয় দল তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। আর সেখানেই, দ্য গ্লোবাল ফ্লোটিলা ফর গাজার প্রধান নৌকাটি ড্রোন হামলার শিকার হয়। যদিও হামলার পর রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, নৌকার ছয়জন যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদ আছেন।
গ্লোবাল ফ্লোটিলা ফর গাজা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পর্তুগালের পতাকাবাহী ওই নৌকাটিতে হামলার ফলে সেটির প্রধান ডেক ও স্টোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অভিযোগ, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ভয় দেখানো, যাতে তারা পিছু হটে।
তবে তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র মোজাইক এম রেডিওকে বলেন, হামলার কোনো সত্যতা নেই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নৌকাটির ভেতর থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর তিউনিশিয়ার সিদি বো সাঈদ বন্দরে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেয়।
জিএসএফ জানিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং কারা এর পেছনে জড়িত তা খুঁজে বের করা হবে। তারা আরও দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছে, কোনো হামলা বা হুমকি দিয়ে তাদের শান্তিপূর্ণ মানবিক মিশন থামানো যাবে না। তাদের ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর এই সংহতি মিশন অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন