ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গতকাল শুক্রবার রাতে বোমা হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বোমা হামলা জোরদারের পাশাপাশি সেখানে স্থল অভিযান সম্প্রসারণ করছে তারা। শনিবার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
একদিকে গাজার ভেতরে ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে হামাসের বড় ধরনের গোলাগুলির খবর শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে গাজায় ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হামাসের টানেল নিশানা করে বিমানবাহিনী উল্লেখযোগ্য হারে হামলা চালিয়েছে। সম্প্রতি আমরা যে হামলা চালিয়েছি তার পাশাপাশি পদাতিক বাহিনী আজ সন্ধ্যায় তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে। যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে আইডিএফ।
গত দুদিন ধরে যুদ্ধট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় সীমিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস বলেছে, গাজায় তারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। উত্তর গাজায় দুপক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে বেশ কয়েক দিন ধরে অবরুদ্ধ গাজায় যে স্থল অভিযান পরিচালনার কথা ইসরায়েল বলে আসছে তা এখনো শুরু হয়নি জানিয়েছেন মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
এক আমেরিকান কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে বলেছেন, শুক্রবারের ইসরায়েলি অভিযান সীমিত আকারের। আইডিএফের মুখপাত্র পিটার লার্নারও এমনটাই বলেছেন। তিনি বলেন, হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে যে বড় ধরনের স্থল অভিযানের কথা বলা হচ্ছে সেটি গতকাল শুরু হয়নি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে দিন ইসরায়েলি হামলা চালিয়ে ১৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে আসে সংগঠনটি।
হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি নির্বিচারে বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় সাত হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এরই মধ্যেই এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল অভিযান চালাতে বেশ কয়েক দিন ধরে গাজা সীমান্তে হাজার হাজার সেনা ও রসদ জড়ো করেছে ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন