ফিলিস্তিনের আরও এক হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল কুদস হাসপাতালে এ হামলা চালানো হয়েছে। বোমা হামলায় হাসপাতাল পুরো কেঁপে উঠেছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্টের পরিচালক মারওয়ান জিলানি বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে বলেন, গতরাতে গাজার আল কুদস হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হাসপাতালের ভবনগুলোর এত কাছে এ হামলা চালানো হয়েছে যে, তখন পুরো হাসপাতাল হামলায় কেঁপে উঠেছে। হাসপাতালের কর্মকর্তাদের বরাতে তিনি জানান, হামলার আগে এ খবর তারা কেউ জানতেন না।
জিলানি বলেন, আল কুদস হাসপাতালের দুটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি জরুরি বিভাগ এবং অপরটি প্রধান ওয়ারহাউস। হামলার কারণে এ দুটি ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে হাসপাতাল এখন পরিষেবার বাইরে চলে গেছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে হামলার পর সেখানে কোনো ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ভবন ধসের কারণে সেখানকার স্টাফসহ বাকিরা শারীরিক ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এটি ইসরায়েলে হামলার অন্যতম নৃশংস ঘটনা।
হামলার পর তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর খবরে বলা হয়, শত শত ফিলিস্তিনি হাসপাতালটি নিরাপদ ভেবে সেখানে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। এরপরই গত ১৭ অক্টোবর রাতে সেখানে বোমা হামলা হয়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানান, গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রোগী, নারী ও শিশু রয়েছে।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটি যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। হামলার পরপর ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি ভয়াবহ অপরাধ, গণহত্যা। ইসরায়েলকে যেসব দেশ সমর্থন করছে এ হামলার দায় তাদেরও রয়েছে।
মন্তব্য করুন