সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আল-শিফা হাসপাতাল : গুরুতর আহত ২৫০ রোগীর ভাগ্য এখনো অজানা

রোববার বেশ কয়েকটি নবজাতক শিশুকে রাফাহ সীমান্তপথের আমিরাতি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
রোববার বেশ কয়েকটি নবজাতক শিশুকে রাফাহ সীমান্তপথের আমিরাতি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনাদের অবরোধের মধ্যে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় এখনো গুরুতর আহত ২৫০ জন রোগী অবস্থান করছেন। ইসরায়েল হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিলেও তারা সেখান থেকে সরতে পারেননি। এ অবস্থায় তাদের জন্য কী পরিণতি অপেক্ষা করছে তা এখনো অজানা। সোমবার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

ইসরায়েলি নির্দেশনা মেনে গত শনিবারই আল-শিফা হাসপাতাল থেকে অধিকাংশ মানুষ অন্যত্র চলে যান। এরপর রোববার সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় বেশ কয়েকটি নবজাতক শিশুকে রাফাহ সীমান্তপথের আমিরাতি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতাল ত্যাগ করার যাত্রাটা তাদের জন্য মোটেও সুখকর ছিল না।

আলজাজিরা বলছে, কিন্তু যারা গুরুতর আহত তারা এখনো হাসপাতালে রয়ে গেছেন। অথচ আল-শিফায় পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই। এ কারণে হাসপাতালটি আর কার্যক্রম সচল রাখতে পারেনি। দিন যত সামনে যাচ্ছে তাদের অবস্থা আরও অবনতি হচ্ছে। ফলে এসব রোগীর ভাগ্যে আসলে কী ঘটবে, তা অজানা।

এর আগে গত শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষক দল আল-শিফা হাসপাতাল পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শন শেষে হাসপাতালকে মৃত্যুপুরী বলে মন্তব্য মন্তব্য করেছেন তারা।

রোববার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, নিরাপত্তা ও সময় সীমিত হওয়ায় মাত্র এক ঘণ্টা সময় হাসপাতালে অবস্থান করে পর্যবেক্ষক দল। এরপর তারা বলেছেন, হাসপাতালটি এখন মৃত্যুপুরী এবং এর ভেতরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই। এ কারণে হাসপাতালটি আর কার্যক্রম সচল রাখতে পারেনি।

আল-শিফা হাসপাতালে হামাস যোদ্ধাদের গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে, এমন দাবি করে বেশ কয়েক দিন ধরে হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলের সেনারা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এ দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

বিদেশিদের হাতে বন্দরের ব্যবস্থাপনা তুলে দেওয়া অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত : লায়ন ফারুক

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় / পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মেজর সিনহাকে

কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর দিল সৌদি আরব

সোনালী ব্যাংকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে প্রতারণা

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

১০

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

১১

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

১২

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

১৩

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

১৪

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

১৫

‘স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় না গিয়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে ফিরে যান’

১৬

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশের দরকার ১২৬ রান

১৭

শাহজাহানের বক্তব্য সমর্থন করে না জামায়াত

১৮

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’, নামের অর্থ জানুন

১৯

প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু

২০
X