টানা সাত সপ্তাহের ইসরায়েলি বোমাবষর্ণের পর প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন ফিলিস্তিনিরা। প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বোমা থেকে নিরাপদ বোধ করছেন তারা। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি শুরুর পর অবরুদ্ধ গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে জ্বালানি ও রান্না করার গ্যাসও রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাগুলোর ত্রাণ মিসর থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, জ্বালানিগুলো ইসরায়েলি সরকার কর্তৃক অনুমোদন পাওয়ার পরই গাজায় প্রবেশ করেছে। এটা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটা অংশ।
আলজাজিরা জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, আজ ২০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে। এভাবে প্রতিদিনই ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার কথা রয়েছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, আজকেই আমরা প্রথমবারের মতো মাথার ওপর ইসরায়েলি ড্রোন উড়ার শব্দ শুনতে পাইনি। স্থানীয় মানুষজনের প্রত্যাশা, স্বল্পমেয়াদি এই যুদ্ধবিরতির পথ ধরেই গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি আসবে।
যুদ্ধ থামার সাথে সাথেই হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। লক্ষ্য একটাই—ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি এক নজর দেখার সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়জনদের খোঁজ-খবর নেওয়া।
এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, আমি বাড়ি যেতে চাই। আমার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেলেও আমি সেখানে থাকতে চাই। আমি সেখানে মরতে চাই। আরেকজন নারী বলেছেন, আমি দোয়া করি যেন যুদ্ধবিরতির এসব দিন আরও দীর্ঘ হয়। যেন এক বা দুই দিনের মধ্যে শেষ না হয়ে যায়।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে আগামী চার দিন। এই চার দিনে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। আর বিনিময়ে গাজায় জিম্মি ৫০ বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস।
মন্তব্য করুন