তৃতীয় দফায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ দফায় মুক্তি পেয়েছেন যায়েদ নামের এক ফিলিস্তিনি যুবক। তবে নিজের ভাইয়ের মুক্তিতেও খুশি নন ফিলিস্তিনি এ যুবকের বোন নুর আরার। রোববার (২৬ নভেম্বর) আলজাজিরার সঙ্গে আলাপকালে নিজের আক্ষেপের কথা জানান তিনি।
নুর আরার বলেন, আমরা খুশি না। আমাদের অনুভূতি মিশ্র। কেননা আমাদের আনন্দ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। গাজায় যা হচ্ছে তা আমাদের আননন্দকে ম্লান করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে সবকিছু বাতিল করা হয়েছে। এমনকি বিচারের মতো পরিবেশও নেই।
এ তালিকায় মুক্তি পেয়েছেন ১৮ বছর বয়সী ওমর। তার পিতা শাকির মাহজনা বলেন, প্রথমে আমি তো এটা বিশ্বাসও করতে পারিনি। আমি যখন তাকে দেখেছিলাম তখন সে খুব উদ্বিগ্ন ছিল। সে আমাকে বলেছিল যে, বাবা আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে গাজায় অন্তত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
ক্রমাগত এ হামলার মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। কাতারের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছে। এর আওতায় শুক্রবার থেকে গাজায় হামলা বন্ধ করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া চুক্তির শর্তানুসারে গাজায় ত্রাণ ও জরুরি সহায়তা এবং জ্বালানি প্রবেশেরও অনুমতি দিয়েছে তারা।
চু্ক্তিতে বলা হয়, চার দিনের এ বিরতিতে হামাস ৫০ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। সোমবার এই চুক্তির শেষ দিন।
মন্তব্য করুন