যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ‘ইসরায়েল হামাসকে নির্মূলের ধারেকাছেও নেই’ সংবাদ প্রকাশ করার পরপরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই চ্যালেঞ্জ করেন। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জেনেভায় জাতিসংঘে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বক্তব্যকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল কখনোই হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। তবে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে তারা হামাসের হাতে আটক বন্দিদের ফিরিয়ে নিতে পারবে। সংঘাত বন্ধ না করলে বন্দিদের ফেরত দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং উন্মুক্ত রাখতে হবে, গাজার প্রতিটি অংশে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে হবে এবং গাজার জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালানোর পরও ইসরায়েল হামাসকে নির্মূলের ধারেকাছেও নেই।
৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৬৬ দিন যুদ্ধের পরও হামাসকে নির্মূলের ধারেকাছেও যেতে পারেনি ইসরায়েলি সেনারা। হামাসের সামরিক শাখায় ৩০ হাজার যোদ্ধা রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে হামাস স্পষ্ট করে বলেছে, গাজায় ‘হামাসের পর’ বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না। এখানে হামাসই শেষ কথা। ইসরায়েল ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নির্মূল করার যে দিবাস্বপ্ন দেখছে তা কখনোই পূরণ হবে না। যুদ্ধের পর হামাসই গাজা পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের অপরাপর শক্তির সঙ্গে হয় সমঝোতা না হয় ভোটের আয়োজন করা হবে। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করায় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে। মঙ্গলবার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের এক সভায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ কথা বলেন। বাইডেন আরও বলেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সৃষ্টিকে ‘না বলতে’ পারে না ইসরায়েল। গাজায় নির্বিচার বোমা হামলার কারণে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যেও ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন কমতে পারে। এসময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তার সরকারে পরিবর্তন আনার আহ্বানও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মন্তব্য করুন