শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় শান্তি ফেরাতে ইসরায়েলের ৩ শর্ত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। ছবি :  সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে চালানো ইসরায়েলের অভিযান ক্রমেই যেন দীর্ঘ হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও তাতে সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষই। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় শান্তি ফেরাতে তিনটি শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে লেখা এক কলমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিন শর্তে গাজায় শান্তি ফিরতে পারে। এ তিন শর্ত হলো- হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা, গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ ও ইহুদিদের প্রতি ফিলিস্তিনিদের বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব দূর করা।

ইসরায়েলের দাবি, গাজায় হামাসকে নির্মূলের জন্য অভিযান চালিয়ে আসছে তারা।

এদিকে হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে গাজায় অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে পুরোপুরি নির্মূলের আগ পর্যন্ত এ অভিযান বন্ধ করবে না বলছে ইসরায়েল। যদিও ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক লোক।

গাজায় ইসরায়েলের প্রথম শর্তটি হলো হামাসকে নির্মূল করা। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূল করতে ইসরায়েলের এ হামলায় তাদের জোর সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জামার্নিসহ বিভিন্ন দেশ। নেতানিয়াহু প্রশাসনকে অভিযানের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে তাদের গাজার সামরিক সক্ষমতা রুখে দিতে হবে এবং গাজার শাসন থেকে হামাসকে অবসান ঘটাতে হবে।

দ্বিতীয় শর্তে ইসরায়েল বলছে, গাজাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে ইসরায়েলে হামলার জন্য গাজাকে পুনরায় কখনো সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এজন্য উপত্যকার সীমান্তে সাময়িক নিরাপত্তা জোন স্থাপন করা দরকার। এছাড়া গাজার সঙ্গে মিসরের সীমান্ত পথ রয়েছে। এ পথ দিয়েই সেখানে অস্ত্রের চালান ঢুকছে। ফলে মিসরের রাফান সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো জরুরি।

তৃতীয় শর্তের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের স্কুলগুলোতে শিশুদের এটা শেখাতে হবে যে, মৃত্যুর চেয়ে বেঁচে থাকা মূল্যবান। এমনকি জীবনের যত্ন নেওয়াটাও জরুরি। এছাড়া ফিলিস্তিনি ইমামদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সেখানকার ইমামরা সমসময়ে বক্তব্যে ইহুদিদের হত্যার ব্যাপারে উসকানি দেয়। তাদের এগুলো বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সমর্থন করে এজন্য সুশীলদেরও কাজ করতে হবে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কলামে বলা হয়েছে, আমরা যদি যুদ্ধ শেষের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এমন সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। তাহলে তা হবে দিবাস্বপ্ন। কেননা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সেই ইচ্ছা বা সক্ষমতার কোনোটিই নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেই বিচারকের মোবাইল ফোন ও চশমা উদ্ধার

তারেক রহমানের জন্মদিনে শীতবস্ত্র বিতরণ

নিউমুরিং টার্মিনালের চুক্তির সব কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ

সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শুক্রবার 

আ.লীগের ৫ শতাধিক সমর্থকের নামে চার মামলা, গ্রেপ্তার ২২

নির্বাচনের আগে ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

স্ত্রী হারালেন তোফায়েল আহমেদ

রাতে ৫৬ নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে গ্রেনেড, বাড়িতে নিয়ে যান কৃষক

ইতালি যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জের দুই যুবকের মৃত্যু

১০

জিম্বাবুয়ের কাছে লঙ্কানদের লজ্জার পরাজয়

১১

প্রথমবারের মতো কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১২

গভীর রাতে সাংবাদিক-ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় টিআইবির উদ্বেগ

১৩

২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফের ড্র চূড়ান্ত

১৪

ব্রাকসু নির্বাচনে তপশিল পরিবর্তন, জানা গেল ভোটের নতুন তারিখ

১৫

নিউইয়র্ক এলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি মামদানির

১৬

শীত কবে থেকে বাড়তে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৭

কুয়াকাটায় বিসিসির উচ্চাভিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি

১৮

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের

১৯

বাকৃবির উদ্ভাবন, সামুদ্রিক শৈবালে মিলল রঞ্জক-অ্যাগার-সেলুলোজ

২০
X