ইসরায়েলি হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। নেতানিয়াহু বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গাজায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে সেখানে শিশুদের একটা প্রজন্ম হারিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
গত নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় প্রথমবারের মতো সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে ইসরায়েল ও হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তবে এখনো গাজায় হামাসের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দি আছেন।
জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের যে কোনো সমাজের মতো শিশুরা গাজার ভবিষ্যৎ। তবে এখন তারা অন্যায়ভাবে যুদ্ধের ভুক্তভোগীতে পরিণত হচ্ছে। ফলে তাদের একটা প্রজন্ম পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ফিলিপ লাজারিনি জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার জেনারেল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি ঘন ঘন গাজা সফর করছেন। মাত্র কয়েক দিন আগেই চতুর্থবারের মতো গাজা সফর থেকে ফিরেছেন তিনি।
ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজায় ৫ লাখের বেশি শিশু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তারা যদি বাড়ি না ফিরতে পারে তাহলে কীভাবে স্কুলে আসবে। অবশ্য তাদের বাড়িঘর ইতিমধ্যে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ভয় পাচ্ছি যে, আমরা এখানে শিশুদের একটা প্রজন্ম হারানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন