অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এ আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। তার এমন মন্তব্যের পর আলোচনায় অংশ নিতে কায়রো যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তিনি কায়রো যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস। নতুন করে এ যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্যারিসে আলোচনার পর এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কাতার ও মিসর হামাস ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি কার্যকরে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা রয়েছে। এর শুরুতে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় আরও বেশি ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। এ ধাপে হামাসের হাতে আটক থাকা নারী, শিশু ও ষাটোর্ধ্ব অসুস্থদের মুক্তি দেওয়া হবে। এর বিপরীতে কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে গাজার আরেক যোদ্ধাদল ইসলামিক জিহাদ নতুন শর্তারোপ করেছে। দলটির মহাসচিব জিয়াদ আন নাখালা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তিতে নতুন চার শর্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘোষিত চারটি শর্ত অগ্রাহ্য করলে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতে যাবে না ইসলামিক জিহাদ।
দলটির ঘোষিত শর্তগুলো হলো গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহার, গাজা পুনর্গঠনের নিশ্চয়তা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্পষ্ট রাজনৈতিক সমাধান।
ইসলামিক জিহাদের মহাসচিব এক বিবৃতিতে জানান, আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয় এমন একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক সমাধানের নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেব না।
মন্তব্য করুন