হুঁশিয়ারির পর এবার ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদেরকে লক্ষ্য করে ইরানের শতাধিক ড্রোন ধেয়ে আসছে। এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
ইরানের সংবাদমাধ্যমের এমন সংবাদের ফলে আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইরান আরও বেশি সমরাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের সফর বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি হোয়াইট হাউসে ফিরে সিচুয়েশন রুমে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
মার্কিন দুই কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি ড্রোন প্রতিরোধ করেছে। তবে কোথায় এবং কীভাবে ড্রোনগুলো প্রতিরোধ করা হয়েছে তা জানানো হয়নি।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি রয়েছে। তারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে পারে। তবে বিষয়টি অবশ্য কোথায় থেকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভরশীল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের যত সামরিক ঘাঁটি ও সেনা আছে সবই ইরানের বিরুদ্ধে নামিয়ে দেবেন তিনি।
তথ্য বলছে, কুয়েত, কাতার, আমিরাত, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অন্তত ১০টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে আমেরিকার। এ ছাড়া মোতায়েন আছে ৪০ হাজারের বেশি সেনা। সমরবিদরা বলছেন, ইসরায়েলের চেয়েও ইরানের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে মার্কিন বাহিনী।
জানা যায়, সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান এয়ারবেজে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭৬তম এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং রয়েছে। এখান থেকে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এফ-১৬ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল ধাফরা এয়ার বেজে রাখা আছে এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান। যে কোনো প্রয়োজনে এখান থেকেই শক্রপক্ষকে ঘায়েল করতে চায় পেন্টাগন। এমনকি কুয়েতের আলি আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে ৩৮৬তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং। কাতার এবং বাহরাইনেও আছে হাজার হাজার মার্কিন সেনা।
ইরানে হামলার জন্য উপসাগরীয় এলাকায় অবস্থিত আমেরিকান কোনো ঘাঁটি ব্যবহার না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। শুধু তাই নয়, ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক মার্কিন হামলার ক্ষেত্রে এসব উপসাগরীয় দেশ তাদের আকাশসীমা দিয়ে মার্কিন বিমান উড্ডয়ন প্রতিরোধ করার পদক্ষেপও নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন