টানা তিন ধরে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটির হামলায় ইসরায়েলের বাড়িঘর ও একটি বাসে আগুন লেগে গেছে। শুক্রবার (১৪ জুন) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা শুক্রবার রকেট, ড্রোন ও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের মেতুলা ও দখলকৃত শেবা ফার্মস এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, লেবানন থেকে চালানো এ হামলায় মেতুলার দুটি বাড়ি ও একটি বাসে আগুন ধরে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা ও দেশটির কৃষকদের লক্ষ্য করে অন্তত পাঁচটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একটি এলাকায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে চারটি দল কাজ করছে। অন্য এলাকায় আগুনের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই।
בעקבות ירי רקטות מלבנון, שריפה פרצה סמוך לקיבוץ יראון שבגליל העליון ומאיימת להגיע לבתים@rubih67 pic.twitter.com/KtYvujzZqz — כאן חדשות (@kann_news) June 14, 2024
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দেড় শতাধিক রকেট হামলা করে হিজবুল্লাহ। সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমি ও আপার গ্যালিলিও এলাকায় এ হামলা করা হয়।
এ ছাড়া গত বুধবার (১২ জুন) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সকাল থেকে দফায় দফায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গত ৮ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এটি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর চালানো অন্যতম বড় রকেট হামলা।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, লেবানিজ গোষ্ঠীটির এবারের হামলায় লক্ষ্য করা হয়েছে তাইবেরিয়াসকে। চলমান যুদ্ধে এর আগে এই অঞ্চলে কোনো রকেট ছোড়েনি হিজবুল্লাহ। রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
এর আগে গতকাল রাতে লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে দখলদার ইসরায়েল হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হামলার প্রতিবাদেই একসঙ্গে এত রকেট ছোড়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন