গত কয়েক দশক ধরে মহাকাশে অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। লক্ষ্য বহু অজানা রহস্যের খোঁজ এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই তালিকায় যেমন আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়ার নাম; তেমনি রয়েছে ভারতের নামও।
তবে এমন দুঃসাহসিক অভিযানে গিয়ে মহাকাশযানগুলো বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এ পর্যন্ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, ২০২৫ সালে চাঁদে এবং পরবর্তী দশকে মঙ্গলে তারা নভোচারী পাঠাবে। ফলে এসব যাত্রায় অনেক নভোচারী মারাও যেতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হলো মহাকাশে মারা গেলে নভোচারীর মরদেহের কী হবে? অবশ্য এর উত্তর মিলবে নাসার তৈরি প্রটোকল থেকে।
নাসা বলছে, মহাকাশে অভিযানে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ভেতরে কেউ মারা গেলে অন্যান্য নভোচারীরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটি ক্যাপসুলে করে মরদেহ পৃথিবীতে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন। আর পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে গিয়ে কারও মৃত্যু হলেও কয়েক দিনের ভেতরে সেখান থেকে মরদেহ পৃথিবীতে নিয়ে আসা যাবে। এ জন্য চাঁদ ও কক্ষপথে মরদেহ সংরক্ষণের কথা ভাবেন না নভোচারীরা।
তবে পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ৩০০ মিলিয়ন মাইল। এত দূরের একটি গ্রহে কেউ মারা গেলে কিছুটা বিপাকে পড়েন বাকি সদস্যরা। কেননা তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহ পৃথিবীতে ফেরত পাঠানো যায় না।
নাসা প্রটোাকল অনুযায়ী, একমাত্র মিশন শেষ হলেই সেই মরদেহ পৃথিবীতে ফেরত আসবে। মিশন শেষ হতে এক বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। আর এ দীর্ঘ সময় মরদেহটি বিশেষ কোনো চেম্বার বা ব্যাগে সংরক্ষণ করা রাখা হবে।
মন্তব্য করুন