কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ১২:১৭ পিএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পৃথিবীতে সৌরঝড়ের আঘাত, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা!

সৌরঝড়ের ফলে সৃষ্ট মেরুজ্যোতি দেখতে পেয়েছেন উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। ছবি : সংগৃহীত
সৌরঝড়ের ফলে সৃষ্ট মেরুজ্যোতি দেখতে পেয়েছেন উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। ছবি : সংগৃহীত

এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আলোর ঝলকানি দেখল বিশ্ব। উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষ গতকাল শুক্রবার রাতে এই সৌরঝড়ের ফলে সৃষ্ট মেরুজ্যোতি দেখতে পেয়েছেন। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে এই আলোক ঝলকানির ছবি শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা গেছে, সমগ্র আকাশ বিভিন্ন রঙে ছেয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দুই দশকের মধ্যে পৃথিবীতে আঘাত হানা এটি সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়। এর কারণে স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশ ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময় এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রাত ১০টার দিকে কোরোনাল মাস ইনজেকশন পৃথিবীতে আঘাত হানে। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বড় অগ্ন্যুৎপাত এটি। পরে এটি জিওম্যাগনেটিক স্টর্মে পরিণত হয়।

এদিকে এই সৌরঝড়ের কারণে উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়াতে অরোরা আলোর ঝলকানি বা মেরুজ্যোতি দেখা গেছে।

এই সৌরঝড়ের দেখার পর স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইনজেকশন এবং সূর্যের মধ্যে সোলার ফ্লেয়ার ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌরশিখা দেখা গেছে।

সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এতে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবাসহ কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও।

ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সঙ্গে যুক্ত চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ওঠানামা করে দীর্ঘ তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে, যার ফলে ব্ল্যাকআউট হতে পারে। দীর্ঘ পাইপলাইনগুলো বিদ্যুতায়িত হতে পারে, যা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মহাকাশযানও উচ্চমাত্রার বিকিরণের ঝুঁকিতে রয়েছে, যদিও বায়ুমণ্ডল সৌরঝড়কে পৃথিবীতে পৌঁছতে বাধা দেয়।

নাসার কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, তারা মহাকাশচারীর নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীদের স্টেশনের মধ্যে সব থেকে বেশি সুরক্ষিত জায়গায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোথায় গেল  বাপ্পি লাহিড়ীর বিপুল স্বর্ণ?

নির্বাচনে নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাংবাদিক আমিনুর রহমান টুকু মারা গেছেন

রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই জাপার : নাহিদ

আবারও আঁচল–আরজু

বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও যত টাকা পাবে বাংলাদেশ

ট্রলারসহ ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

চবি-বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল : দুলু

ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলেন সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ২৪ আসামি 

১০

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার সমাধিতে প্রকৌশলীদের শ্রদ্ধা

১১

সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের ভাই চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার

১২

তারেক রহমানের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ : লায়ন ফারুক

১৩

পুত্রবধূর বঁটির কোপে শ্বশুর নিহত

১৪

আল-আকসা মসজিদের নিচে গোপনে খনন করছে ইসরায়েল, নেপথ্যে কী?

১৫

এতদিন ক্ষমতায় থাকলেন কেন, প্রশ্ন জামায়াত নেতার

১৬

নারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা, কত পাবে চ্যাম্পিয়ন দল

১৭

আকস্মিক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে আইন উপদেষ্টা

১৮

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পরিবর্তন

১৯

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ৬ শতাধিক, আহত ১৫০০

২০
X