পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার এ রায় দেন।
আদালতের এ রায়ের পরপর শনিবার বিকেলে তাকে লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ।
ইমরানের খানের সাজা এবং তাকে গ্রেপ্তারের পরপর দলের করণীয় নিয়ে পিটিআইয়ের কোর কমিটি জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে দেওয়া এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে, তারা ইমরান খানের মুক্তি ও দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া দলের পক্ষ থেকে সংবিধান ও দেশের আইন মেনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ইমরান খান গ্রেপ্তার
এই মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেইশি বলেন, সরকার ‘প্রচণ্ড ভীত’ হয়ে আদালতের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পূর্বপরিকল্পিত রায় দিয়েছেন।
জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোরেইশি বলেন, ‘আমি আদালতের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিত। এটি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল।’
ইমরান খানকে উদ্ধৃত করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তিনি (ইমরান খান) আগেই বলেছিলেন তাকে গ্রেপ্তার করতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা আমাকে অযোগ্য প্রমাণিত করতে বদ্ধপরিকর। এটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া পদক্ষেপেই প্রমাণিত হয়েছে।
গ্রেপ্তারের আগে পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সামরিক বাহিনী ‘প্রচণ্ড ভীত’ হয়ে পড়েছে বলে মন্ত্রব্য করেছিলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
মন্তব্য করুন