পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেইশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ আগস্ট) ইমলামাবাদের নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর জিও নিউজ ও ডনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেডারেল ইভেস্টিগেসন এজেন্সির (এফআইএ) কর্মকর্তারা ইমলামাবাদের বাসভবন থেকে হেফাজতে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সংশ্লিষ্ট চিপ মামলায় ইমরান খানের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিটিআই সূত্র জানিয়েছে, দলের এ ভাইস প্রেসিডেন্টকে ইসলামাবাদের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে এফআইএ হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পিটিআইয়ের এ নেতা নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিটিআইর সাধারণ সম্পাদক ওমর আইয়ুব জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের বিষয়ে বক্তব্য রাখার পর বাসায় ফেরার সাথে সাথেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদী সরকারের রাজত্বের অবসান ঘটবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আচরণে মনে হচ্ছে তিনি ফ্যাসিবাদ সরকারের রেকর্ড ভাঙতে চান।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) অ্যাটক কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান (পিটিআই) ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। পাকিস্তান সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির একটি চিপ সরিয়ে নিজের কাছে রাখার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তার আগে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল জেআইটি। মঙ্গলবার ইসলামাবাদের ডিআইজি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন জেআইটি কর্মকর্তারা। এ সময় তার সঙ্গে পিটিআইর আইনি দলের সদস্যরা ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন