ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় কড়া জবাব দিচ্ছে পাকিস্তান। কাশ্মীর সীমান্তে গোলাবর্ষণের পাশাপাশি শত শত ড্রোন পাঠিয়ে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে নাজেহাল করার চেষ্টা করে তারা। অবশ্য কোনো ড্রোনই সামরিক স্থাপনার ক্ষতি করতে পারেনি। এমন দাবি করেছে নয়াদিল্লি।
নয়াদিল্লির দাবি, বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে ও শুক্রবার (৯ মে) দিনভর ৩৬ নিশানায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এসব নিশানায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলা চালায়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, এসব হামলা প্রতিবারই ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ভারতের সেনাছাউনিকে নিশানা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় ভারতের আকাশসীমাও লঙ্ঘন করার চেষ্টা করেছে তারা। এমনকি নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সেনারা।
ভারত সরকার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে একটি বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, এই ড্রোনগুলো লাদাখের লেহ থেকে গুজরাটের স্যার ক্রিক পর্যন্ত পুরো পশ্চিম সীমান্তে ৩৬টি স্থানে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে হামলা চালায়। পাকিস্তানের পাঠানো প্রায় ৪০০টি ড্রোনের মধ্যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কাইনেটিক ও নন-কাইনেটিক উপায়ে অনেক ধ্বংস করেছে। পরে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে তদন্তের জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের প্রাথমিক ফরেনসিক প্রমাণে দেখা গেছে, এগুলো তুরস্কের ‘আসিস গার্ড সোঙ্গার’ ড্রোন ছিল।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করেনি তুরস্ক। পাকিস্তান-সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিহত ভারতীয় পর্যটকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়নি তারা। তার পরিবর্তে পাকিস্তানকে কাশ্মীর ইস্যুতে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
এদিকে গোলা, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের পর এবার সাইবার আক্রমণ করেছে পাকিস্তানি বাহিনী। শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এ দাবি করেছে। খবর জিওটিভি নিউজের।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, সাইবার আক্রমণের ফলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তাদের সামরিক উপগ্রহও।
দাবি অনুযায়ী, নেভিগেশন এবং যোগাযোগ উপগ্রহসহ ভারতীয় সামরিক উপগ্রহগুলো ‘সফলভাবে জ্যাম’ করেছে পাকিস্তানি সাইবার যোদ্ধারা।
সাইবার আক্রমণটি ভারতীয় সরকারের ইমেল সার্ভার এবং পোর্টালগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্থ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারত সরকারের কৌশলগত বিভিন্ন সার্ভার লক্ষ্য করে হামলা চলছে।
মন্তব্য করুন