মাসখানেক পরেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। দেশজুড়ে নির্বাচনের হাওয়া বইলেও কারাগারে বন্দি দেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান। এমনকি নির্বাচনী প্রচারের অনুমতি নেই তার দল পিটিআইয়ের। তবে এত কিছু করেও ইমরানকে নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত রাখতে পারল না পাকিস্তান সরকার। কারাগারে বসেই দেশের জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে তার দলের পক্ষে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন।
শুনতে অবাক লাগলেও কারাগারে বসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। রোববার দেওয়া ইমরান খানের এই ভাষণ সামাজিক মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন।
ইমরান খান বলেছেন, আমাদের দলকে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের সমর্থকদের গুম করা হচ্ছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে।
সশরীরে সমাবেশের অনুমতি না থাকায় রোববার ভার্চুয়াল এই সমাবেশের আয়োজন করে পিটিআই। এই সমাবেশের শেষ দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ইমরান খানের চার মিনিটের একটি ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। পিটিআই নেতারা জানিয়েছেন, ভাষণটি আগেই ইমরানের কাছ থেকে অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের এই ভাষণ শুধু ইউটিউবে ১৪ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম সাইটে কয়েক হাজার মানুষ লাইভ অংশগ্রহণ করেছেন।
তবে ইমরান খানের ভাষণ সম্প্রচারের সময় ইন্টারনেট ধীর গতির কারণে বাধার মুখে পড়ে পিটিআই। এ কারণে সাধারণ মানুষের প্রবল অসন্তোষের মুখে পড়েছে পাকিস্তানের টেলিকম রেগুলেটর। অবশ্য জনরোষের মুখে সংস্থাটি জানিয়েছে, সম্প্রচারণে বিঘ্ন ঘটার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত আগস্টে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের সাজা পাওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন ইমরান খান। আদালতের এই রায়ের পর তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে অযোগ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এমন পদক্ষেপের কারণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে গোপন তারবার্তা (সাইফার) ফাঁসের মামলায় বিচারকাজ চলছে।
সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
মন্তব্য করুন