পাকিস্তানে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। মাত্র কয়েক দিন পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। অথচ দেশের প্রধান বিরোধী দল পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান কারাগারে বন্দি। অন্যান্য দল নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেও পিছিয়ে আছে পিটিআই। এমন পরিস্থিতিতে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের ইমনার খান বলেন, ‘গত ১৯ মাস ধরে আমি বলে আসছি যে আমি কথা বলতে প্রস্তুত। আমি সংলাপের জন্য সব সময় উন্মুক্ত। আমি একজন রাজনীতিবিদ।’ অসংখ্য মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খান কয়েক মাস ধরে এই কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে সরকার থেকে বিদায় নেয় ইমরান খানের পিটিআই। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন আইনি জটিলতর মধ্যে রয়েছেন ইমরান। একের পর পর বাধার সম্মুখীন হচ্ছে তার দল পিটিআই।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। নির্বাচন সামনে রেখে জোরেশোরে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। ইতিমধ্যে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনের প্রার্থী মনোনীত করে ফেলেছে দল দুটি।
তবে নির্বাচন সামনে রেখে পিটিআইয়ের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দলটি। গত মে মাসে প্রথমবারের মতো কারাবন্দি হন ইমরান খান। কয়েক দিন পর ছাড়া হলেও আরেক মামলায় আগস্টে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই গণহারে পিটিআই ছাড়তে থাকেন নেতারা। চলতি মাসে পিটিআইয়ের নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট কেড়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া একটি দলের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার কথা থাকলেও মাঝপেথে রণে ভঙ্গ দেয় দলটি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় নির্বাচন করতে পারবেন না ইমরান খান। তার মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে বিরাজমান রাজনৈতিক দৃশ্যপটের কথা উল্লেখ করে ইমারন খান বলেন, দেশে একটি নিয়ন্ত্রিত সংসদ গঠনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল দুর্বল সরকার মেনে নেওয়া। দুর্বল সরকারের পরিবর্তে আমার আবার নির্বাচন করা উচিত ছিল। দুর্বল জোট সরকারের চেয়ে বিরোধী দলে বসলে ভালো হতো।
মন্তব্য করুন