পাকিস্তানের সংসদীয় নির্বাচনের ফল ঘোষণায় বিলম্ব করায় বিতর্কের মুখে পড়েছে সরকার। বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে ভোটের ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণ জানিয়েছে দেশটির সরকার।
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলছে, নির্বাচনের দিন দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় বিভ্রাট দেখা দেয়। এ কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যার মুখে পড়েন কর্মকর্তারা। এ জন্য ফল ঘোষণায় বিলম্ব হয়েছে।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন পাকিস্তানে মোবাইল সেবা বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সরকার উদ্বেগ পর্যন্ত প্রকাশ করে।
এদিকে ভোটগ্রহণের তিন দিন পর নানা নাটকীয় অবসান ঘটিয়ে ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচনে জেলে বসেই রীতিমতো ছক্কা হাঁকিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
রোববার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে দেশটিতে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশি আসনে জয় পেয়েছেন।
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোট হয়েছে। একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়। আর অন্য একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
মন্তব্য করুন