পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এনের সঙ্গে জোট গঠনের কথা জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি। এর মাধ্যমে আবারও একসঙ্গে ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করল দল দুটি। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
২০২২ সালে ইমরান খানের পিটিআই সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) জোট সরকার। পিএমএল-এন ও পিপিপির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল এই জোট। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকারে ছিল দল দুটি।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পিপিপি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বড় দলগুলো। তবে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি। জোট গঠন নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করে দল দুটি। তবে জোট সরকরের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত আটকে ছিল। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বিলাওয়াল।
মঙ্গলবার রাতে ইসলামাবাদে এক যৌথ বৈঠক শেষে বিলাওয়ালের বাবা আসিফ আলি বলেন, পাকিস্তানকে সংকট থেকে বের করে আনার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থনৈতিক, সন্ত্রাসবাদ বা সমঝোতা, যাই হোক না কেন আমরা পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। পিটিআইও এই সমঝোতা প্রচেষ্টার অংশ। আমরা তাদের এই প্রক্রিয়ায় স্বাগত জানাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এমকিউএম-পির খালিদ মকবুল সিদ্দিকী, আইপিপির আলিম খান, সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি এবং পিএমএল-এনের শাহবাজ শরিফ।
আসিফ আলি বলেন, পাকিস্তান, দেশের মানুষের উন্নয়ন ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তির প্রচেষ্টায় নওয়াজ শরিফ ও অন্যদের সমর্থনের মাধ্যমে আমাদের সহযোগিতা করা উচিত।
মন্তব্য করুন