মাঠের মাঝে দুজন প্রতিযোগী। একজন আরেকজনকে কষে চপেটাঘাত করেই চলেছেন। কখনো এক হাত, আবার কখনো দুহাত দিয়েই মারছেন। এমন দৃশ্য দেখতে ভিড় করেছেন হাজার হাজার দর্শক। দিচ্ছেন হাততালি।
এটা কোনো ঝগড়া বা বিবাদের ঘটনা নয়। এটা একটি খেলা। সম্প্রতি পাকিস্তানে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে খেলাটি। এর নাম ‘স্ল্যাপ’ কাবাডি। সাধারণ কাবাডির চেয়ে এ খেলার নিয়মও ভিন্ন। এরই মধ্যে এ খেলার ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে হাসাহাসিও করছেন নেটিজেনরা।
কীভাবে খেলে ‘স্ল্যাপ’ কাবাডি
নামে কাবাডি হলেও সাধারণ কাবাডি খেলার চেয়ে ‘স্ল্যাপ’ কাবাডির নিয়মকানুন ভিন্ন। প্রচলিত খেলায় প্রতিপক্ষের সীমানায় গিয়ে সেই দলের কাউকে ছুঁয়ে ফিরে আসার বা প্রতিপক্ষ দলের কেউ এলে তাকে ধরে রাখার নিয়ম। তবে এই খেলায় প্রতিপক্ষকে একের পর এক চড় মারতে হয়। যত বেশি চড়, তত বেশি পয়েন্ট। এ ছাড়া দল গঠনের কোনো বালাই নেই এখানে। দুজন কুস্তিগিরের মধ্যে লড়াই হয়।
সম্প্রতি বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পাকিস্তানি কাবাডি খেলোয়াড় হাজি তাসাউর। সেখানে ‘স্ল্যাপ’ কাবাডি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেনছেন তিনি।
তাসাউর জানান, স্ল্যাপ কাবাডিতে দুজন কুস্তিগির একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামেন। খেলার সময় একজনকে আরেকজনের বুকে ও গালে চড় মারতে হয়। যত চড়, তত পয়েন্ট। তবে চড় মারতে পারলেও কেউ কাউকে ঘুসি মারতে পারেন না। ঘুসি মারলেই ওই খেলায়াড়কে তৎক্ষণাৎ খেলা থেকে বাদ দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আর খেলা চলে যতক্ষণ না পর্যন্ত একজন হাল ছেড়ে না দেন। খেলা শেষে বিজয়ীকে নগদ অর্থ পুরস্কার ও ট্রফি দেওয়া হয়।
দর্শকরাও এ খেলা অনেক পছন্দ করেন বলে জানান তাসাউর। তিনি জানান, খেলার সময় দর্শকরা অনেক উল্লাস করেন। হাততালি দেন। এ জন্য খেলায় উদ্যমী পরিবেশ তৈরি হয়। কোনো পক্ষই সহজে হাল ছাড়ে না। পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত কাবাডির তুলনায় এই খেলা বেশি জনপ্রিয় বলেও দাবি করেন তিনি।
মন্তব্য করুন