দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় লিটল বয় নামের একটি পারমাণবিক বোমা হামলা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। এ হামলার ৭৮তম বার্ষিকী পালন করেছে জাপান।
রোববার (৬ আগস্ট) দিবসটি উপলক্ষে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকালে হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুুন : ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের বর্জ্যপানি সাগরে ছাড়ার অনুমতি
স্মরণসভায় দেশটির কর্মকর্তারা পারমাণবিক অস্ত্রের ক্রমবর্ধমান সমর্থনের প্রবণতার সমালোচনা করেন। এ সময় তারা কোরিয়া উপদ্বীপের উদ্বেগের কারণ হিসেবে পারমাণবিক বোমাকে দায়ী করেন।
দিবসটি পালনের দুই মাস আগে জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে জাপান। এ সময় বিশ্ব নেতারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় বিশ্ব নেতারা এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। সেখানে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করার ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
স্মরণসভায় হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই বলেন, বিশ্বের কিছু নীতিনির্ধারক পারমাণবিক অস্ত্রের পক্ষে কথা বলছেন। এ ধরনের চিন্তাধারা এক রকম নির্বুদ্ধিতা। বিপজ্জনক বর্তমান থেকে আমাদের আদর্শ পৃথিবীর দিকে নিয়ে বিশ্ব নেতাদের দ্রুত পূর্ণাঙ্গ পদক্ষেপ নিতে হবে।
হিরোশিমার গভর্নর হিদেহিকো ইউজাই সারা বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের মাধ্যমে যুদ্ধ প্রতিহতের ক্রমবর্ধমা নীতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া শান্তি বজায় রাখা সম্ভব না এমন ধারণা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতিকে বিলম্বিত করছে।
স্মরণসভায় যোগ দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও সংঘাতের কারণে পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন বিশ্ব গড়ার পথ এখন আগের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, হিরোশিমায় বোমা হামলার তিনদিন পর জাপানের অন্যতম আরেকটি শহর নাগাসাকিতে ফ্যাট ম্যান নামের আরেকটি পারমাণবিক বোমা হামলা করা হয়। এ বোমা হামলায় হিরেশিমাতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার ও নাগাসাকিতে ৭৪ হাজার লোক মারা যায়। এছাড়া এ বোমা হামলার কারণে দুই শহরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আরও প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার লোক মারা যায়। শহর দুটি ৭৮ বছর পর এখনো এ বোমা হামলার ক্ষত বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।
মন্তব্য করুন