কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০১ এএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাইডেনের ক্ষমা, ট্রাম্পের মুক্তি -জলঘোলা মার্কিন রাজনীতি

বাইডেনের রেকর্ড ক্ষমা, ট্রাম্পের মুক্তির ঘোষণা—জল ঘোলা মার্কিন রাজনীতি। ছবি : সংগৃহীত
বাইডেনের রেকর্ড ক্ষমা, ট্রাম্পের মুক্তির ঘোষণা—জল ঘোলা মার্কিন রাজনীতি। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ছাড়ার আগে নজিরবিহীনভাবে পরিবারের সদস্যসহ রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করলেন বাইডেন। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২০ জানুয়ারি) ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ১,৫০০ সমর্থককে মুক্তি দিয়ে চমক দিলেন।

একই দিন সকালে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধের ঝুঁকিতে থাকা আরও অনেককে প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতাবলে ক্ষমা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ নজিরবিহীন।

ক্ষমা পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন বাইডেনের দুই ভাই জেমস ও ফ্রাঙ্ক বাইডেন, বোন ভ্যালেরি বাইডেন এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীরা। এ ছাড়া রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য লিজ চেনি এবং ক্যাপিটল দাঙ্গার তদন্তে যুক্ত থাকা আইনপ্রণেতারাও এই তালিকায় আছেন। বাইডেনের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ‘আমার পরিবার ও ঘনিষ্ঠরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হতে পারেন—এমন হুমকি থেকেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গাকারীদের মুক্তি

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১,৫০০ সমর্থককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশে সই করেছেন। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ট্রাম্পের এই আদেশের মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।

আইনজীবী ড্যারেক স্ট্রম জানিয়েছেন, মুক্তির নির্দেশ দ্রুত কার্যকর করা হবে। এ সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করলেও এটি নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘যারা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হেনেছে, তাদের মুক্তি দেওয়া মার্কিন মূল্যবোধের পরিপন্থী।’

অন্যদিকে, নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জো বাইডেনের রেকর্ড সংখ্যক ক্ষমার সিদ্ধান্তকে ‘অপমানজনক ও অপরাধীদের রক্ষার প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন।

নতুন ধারা, নতুন বিতর্ক

বাইডেন ও ট্রাম্পের এই বিপরীতধর্মী পদক্ষেপ মার্কিন রাজনীতির বিভাজনকে আরও প্রকট করেছে। একদিকে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের নজিরবিহীন ক্ষমা, অন্যদিকে নতুন প্রেসিডেন্টের দাঙ্গাকারীদের মুক্তি—এই দুই ঘটনাই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

সূত্র : বিবিসি ও সিএনএন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্ববাজারে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে

৪ সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত, বজ্রবৃষ্টি পূর্বাভাস

রেখার সঙ্গে পরকীয়া, প্রেম ভাঙে অক্ষয়-রাভিনার

বিশ্বের সবচেয়ে ‘দয়ালু বিচারক’ ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

রাশিয়ার তেল কেনায় ভারত শাস্তি পেল, চীন পেল না কেন?

সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সারওয়ার আলম

টিউমারের ভারে থমকে আছে শিশু মুকাব্বিরের দুরন্তপনা

১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নিখোঁজ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা উদ্ধার

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত মাহবুবুল আনামের

১০

চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

১১

এবার কোথায় বসবেন তারা

১২

খাবার প্লেটের আকারের সঙ্গে স্বাস্থ্যের কী সম্পর্ক রয়েছে

১৩

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৫ বাংলাদেশি

১৪

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

১৫

বিপিএল খেলা তারকা ক্রিকেটার প্রথমবার নাম লেখালেন সিপিএলে

১৬

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

১৭

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

১৮

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

১৯

এ যেন বক-পানকৌড়ির অভয়ারণ্য

২০
X