অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে ইসরায়েলের নজরদারি যন্ত্রপাতি কেনা এবং তা কী কাজে ব্যবহার হয়েছে, তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে পুলিশের জন্য মারণাস্ত্র কেনার প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য নিয়ে খোঁজ নিতে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ সভায় এ দুটি কমিটি গঠন করা হয়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন শফিকুল আলম।
ইসরায়েলি একটি কোম্পানি থেকে ২০২২ সালে নজরদারি যন্ত্র কেনে শেখ হাসিনার সরকার। ২০২৩ সালে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয় ইসরায়েলের পত্রিকা হারেৎজ। যা নিয়ে দেশের গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশ হয়। এসব যন্ত্র দিয়ে ব্যক্তির গতিবিধি ও ফোনালাপ রেকর্ডের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
জুলাই আন্দোলন দমনেও এগুলো কাজে লাগানো হয় বলে দাবি অনেকের। শেখ হাসিনার এমন বেআইনি কাজের তদন্তে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নজরদারি যন্ত্র কেনার পদ্ধতি আর কী কাজে ব্যবহার হয়েছে, তা জানতে গঠন হয়েছে তদন্ত কমিটি।
শফিকুল আলম বলেন, অবৈধ নজরদারি করার জন্য, আমার-আপনার ফ্রিডম অব স্পিচটাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবিধানে আমাদের গোপনীয়তার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটাকে তারা খর্ব করেছে। এটার জন্য একটা কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত করার জন্য যে কত টাকার বা কত মিলিয়ন ডলারে এটা কেনা হয়েছে।
এখনো কি সেসব যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো বেআইনি কাজ করছে না। আগের সরকার যে কীভাবে আড়িপাতাকে ব্যবহার করেছে এবং বেআইনিভাবে কীভাবে ব্যবহার করেছে মানে প্রকিউরমেন্ট প্রসেস থেকে কীভাবে ব্যবহার হয়েছে, আমার আপনার নাগরিক অধিকার কীভাবে খর্ব করা হয়েছে—পুরো জিনিসটা এ কমিটি দেখবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে মানুষ মারে পুলিশ। কী উপায়ে সেসব অস্ত্র কেনা হয়, তা জানতে করা হয়েছে আলাদা কমিটি।
শফিকুল আলম বলেন, আজকের কেবিনেটে এটাও আলোচনা হয়েছে যে, আপনারা আরেকটা রিপোর্ট দেখেছেন যে পুলিশের জন্য কীভাবে মারণাস্ত্র কেনা হয়েছিল। সেটা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। কীভাবে এ মারণাস্ত্র প্রকিউরমেন্ট করা হয়, কীভাবে এটা ব্যবহার হয়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর সফল হয়েছে বলেও তুলে ধরেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মন্তব্য করুন