কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে নেতানিয়াহুর মনোনয়ন

ট্রাম্পের হাতে মনোনয়নের চিঠি তুলে দিচ্ছেন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
ট্রাম্পের হাতে মনোনয়নের চিঠি তুলে দিচ্ছেন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় ট্রাম্পের হাতে মনোনয়নের আবেদন করা চিঠি তুলে দেন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ান জানায়, নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় তিনি ট্রাম্পকে সে সংক্রান্ত চিঠি দেখান। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে অবদান রাখায় ট্রাম্পকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

পরে সাংবাদিকদের নেতানিয়াহু বলেন, গাজা একটি উন্মুক্ত স্থান হওয়া উচিত এবং মানুষকে স্বাধীনভাবে পছন্দ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা এমন দেশগুলোকে খুঁজে বের করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। যারা সবসময় যা বলে তা বাস্তবায়ন করতে চাইবে। ফিলিস্তিনিদের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ দিতে তারা কাজ করবে। আমি মনে করি, আমরা বেশ কয়েকটি দেশ খুঁজে বের করার কাছাকাছি চলে এসেছি।

নোবেল মনোনয়ন সংক্রান্ত চিঠিটি উপস্থাপনের আগে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি কেবল সমস্ত ইসরায়েলিদের নয় বরং ইহুদি জনগণের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা প্রকাশ করতে চাই। আপনি (ট্রাম্প) এটির যোগ্য।’

ট্রাম্প বলেন, বিশেষ করে আপনার কাছ থেকে আসা কথাটি খুবই অর্থবহ।

এটি ছিল ট্রাম্পের জন্য দ্বিতীয় ‘উচ্চ-প্রোফাইল’ মনোনয়ন। এর আগে গত মাসে পাকিস্তান ট্রাম্পকে এই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করবে বলে ঘোষণা করে। এ ছাড়া পাবলিকান আইনপ্রণেতা বাডি কার্টার নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন।

এ বিষয়ে বাডি কার্টার নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিকে একটি চিঠি লিখেছেন। তিনি ঘোষণা করেন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী পরমাণু অর্জন থেকে বিরত রাখতে ট্রাম্পের ‘অসাধারণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা’ রয়েছে।

চিঠিতে কার্টার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ দুই দেশের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যা অনেকেই অসম্ভব বলে মনে করেছিল। ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রোধ করার জন্য এবং ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনে সক্ষম না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য সাহসী, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক, কপাল খুলল ভারতের

জুলাইয়ের প্রথম ৭ দিনে এসেছে ৮১২৫ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

হার না মানা শাহিনুরের পাশে পারভেজ মল্লিক 

গোলাম দস্তগীরের ১২ কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ, জব্দ ৩ গাড়ি

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে সাভারে বিএনপির দোয়া মাহফিল

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবেই : জবি উপাচার্য 

‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করতে জামায়াত আমিরের আহ্বান

ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৫

মার্কিন স্বামীকে প্রকাশ্যে আনলেন পিয়া বিপাশা

জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত অবৈধ : আনিসুল ইসলাম

১০

কুয়েতে নতুন ই-ভিসা চালু

১১

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে পিএসসির জরুরি নির্দেশনা

১২

১১৯ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

১৩

যুদ্ধে জড়াতে চায় ইসরায়েল, পূর্ণ প্রস্তুতিতে ইরান

১৪

মেন্ডিসের শতকে বাংলাদেশের সামনে বড় টার্গেট

১৫

সরকারের নির্বাচনী কার্যক্রম কচ্ছপ গতিতে চলছে : লায়ন ফারুক 

১৬

নরসিংদীতে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের পর যুবদল নেতা বহিষ্কার

১৭

ইরানের শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যার আগে যেভাবে খোঁজ পেত মোসাদ

১৮

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পেটানো সেই ওসিকে বদলি

১৯

শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দিতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন : দুদু

২০
X