কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে আগে থেকেই অবগত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তিনি এ হামলায় সম্মতি দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দিন আগে হামাসকে ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছিলেন, আমি হামাসকে সতর্ক করেছি এর পরিণতি সম্পর্কে। এটাই আমার শেষ সতর্কবার্তা, এর পর আর কোনো সতর্কবার্তা থাকবে না।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দোহায় হামাস নেতাদের ওপর চালানো হামলা সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের নিজস্ব অভিযান ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজকের অভিযানে হামাসের শীর্ষ সন্ত্রাসী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল। এটি সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের নিজস্ব অভিযান। ইসরায়েল এটি শুরু করেছে, পরিচালনা করেছে এবং এর পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দোহায় আচমকা হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের এই হামলার লক্ষ্যবস্তু যারা ছিলেন, তারা ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন। হামাসের একটি সূত্র আলজাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে কাতার। কাতারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশটি এই হামলাকে সর্বোচ্চ কঠোরভাবে নিন্দা জানাচ্ছে।
তিনি জানান, এই হামলা ছিল এমন আবাসিক ভবনের ওপর, যেখানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর কয়েকজন সদস্য থাকতেন।
আল-আনসারি বলেন, এই অপরাধমূলক হামলা সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিনিষেধের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং কাতার ও সেখানে বসবাসরত জনগণের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে কাতার সরকার নিশ্চিত করছে, তারা ইসরায়েলের এই অযাচিত কর্মকাণ্ড এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি এর অবহেলা সহ্য করবে না। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপও বরদাশত করা হবে না। সর্বোচ্চ স্তরে তদন্ত চলছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
হামলায় হতাহতের সংখ্যা বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন