ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর আবারও হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাতে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানায়। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
গাজার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর গাজা শহরের জাবালিয়ায় বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হামলায় পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
চুক্তির প্রথম পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এখনো আংশিক প্রত্যাহার সম্পন্ন করেনি। এরই মধ্যে নতুন করে হামলা হলো।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গাজার সূত্র উভয়ই বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে, যেসব এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে সেখানে তাদের কাছে যেন বাসিন্দারা না যান। ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকায় আইডিএফের মুভমেন্টের সময় জনসাধারণের উপস্থিতি পরিস্থিতি ঘোলাটে করে এবং হামলাটি হয়।
এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সরকার সম্মতি দিয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিসরের শারম আল-শেখে হওয়া আলোচনার ভিত্তিতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের কাঠামো অনুমোদন করেছে। তবে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজার একটি নির্দিষ্ট ‘ইয়েলো লাইন’ থেকে সরে যাবে। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত প্রায় ২০ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। এরপর ধীরে ধীরে নিহতদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং অনেকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক হয়েছিলেন।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ নির্দিষ্ট নয়, তবে এটি গাজার দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধে প্রথম আনুষ্ঠানিক শান্তি উদ্যোগ। ওই যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।
মন্তব্য করুন