যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের ধারণা, পুতিনকে আরও বড় রাজনৈতিক হুমকির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি দাবি করেন, যদিও দুপক্ষের ভেতর দ্বন্দ্ব যত তাড়াতাড়ি শুরু হয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে দ্রুত শেষ হয়ে গেছে, তবু ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে, পুতিনের নেতৃত্বে বড় ধরনের আক্রমণ এটি। তিনি বলেন, ‘ওয়াগনারের বিদ্রোহ পুতিনের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ।’
রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের টকশো ‘ফেস দ্য নেশন’-এ একথা বলেন ব্লিঙ্কেন। এ সময় তিনি বিদ্রোহে অংশ নেওয়া সৈন্যদের ভাগ্যে কী ঘটবে সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এর আগে রক্তপাত এড়াতে শনিবার যোদ্ধাদের মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়া স্থগিত করে ওয়াগনার গ্রুপ। এক অডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভগনি প্রিগোজিন। তিনি জানান, যোদ্ধারা সেনাশিবিরে ফিরছেন।
এর কিছুক্ষণ আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছিলেন, ওয়াগনার বাহিনীর মস্কো অভিমুখী পদযাত্রা স্থগিত করতে তিনি প্রিগোজিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় প্রিগোজিন তার প্রস্তাব গ্রহণে সম্মত হন বলেও জানায় লুকাশেঙ্কোর কার্যালয়।
গত শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করার হুমকি দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এরপর রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সেনা সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় ওয়াগনার।
ওয়াগনারের বিদ্রোহকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট বলে মনে করেছিলেন বিশ্লেষকরা। সাড়ে ২৪ বছরের ক্ষমতায় পুতিন এ ধরনের সংকটের মুখোমুখি হননি।
ওয়াগনারপ্রধানের এ বিদ্রোহের পর পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি। পুতিন বলেন, ‘যা কিছু ঘটছে, তা বিশ্বাসঘাতকতা। এটি দেশের জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল।’
ওয়াগনারের আদি পৃষ্ঠপোষক পুতিন নিজে। রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট এই গ্রুপ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সরকারের পক্ষে ভাড়ায় কাজ করত। ২০১৪ সালে এই গ্রুপের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
মন্তব্য করুন