কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪, ০১:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-কাতারের নীলনকশা

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। ছবি : সংগৃহীত
কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। ছবি : সংগৃহীত

গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে কোনোভাবেই উৎখাত করছে পারছে না ইসরায়েল। তবে এবার ভিন্ন এক জায়গা থেকে সংগঠনটিকে চেপে ধরতে চাইছে ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। কাতারভিত্তিক হামাসের রাজনৈতিক অফিস নিয়ে নতুন এক চক্রান্তের নীলনকশায় মেতে উঠেছে দেশটি। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাতারকেও দলে ভিড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (০৪ মে) ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষপর্যায় থেকে এমন চাপ আসার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কাতার। যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করা হতে পারে বলে কাতারের পক্ষ থেকে হামাসের নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতার কয়েক মাস ধরেই হামাসের শীর্ষ নেতাদের দেশটি থেকে বের করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তবে শুধু দেশ থেকে বহিষ্কারই নয় কাতারে হামাসের রাজনৈতিক অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। কাতার সরকারের এমন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। বিগত বছরগুলোতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতে কাতারকে মধ্যস্থতা করতে দেখা গেছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনে কাতার অনেকটা নিস্পৃহ ভূমিকা বজায় রেখেছে।

গেল মাসে কাতার জানায়, তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতার ভূমিকা থেকে সরে আসতে পারে। রাজনীতিকরা নিজেদের ফায়দা লাভের আশায় কাতারের ভূমিকাকে খাটো করে দেখছে, এমন উদ্বেগ থেকেই নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনার কথা জানায় দোহা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, কাতার যদি মধ্যস্থতার ভূমিকা থেকে সরে আসে তাহলে হামাসের রাজনৈতিক অফিস দেশটিতে রাখার কোনো মানে নেই।

বাইডেন প্রশাসনের আশা, হামাসের নেতাদের কাতার থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিতে রাজনৈতিক ফায়দা হতে পারে। তবে ওয়াশিংটন পোস্টকে বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে আলোচনা প্রক্রিয়া আরও জটিল হবে। কেননা দোহায় হামাসের অফিস থাকা না থাকায় কিছু যায় আসে না। কারণ গাজায় বসে যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের কাছে হামাসের অফিস কোথায় থাকবে তা কোনো বিষয় নয়।

ঠিক একই ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কাতারের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিক থিওরোস। তার বিশ্বাস, কাতার থেকে হামাসকে বের করে দেওয়া হোয়াইট হাউসের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন হবে। এর ফলে ভবিষ্যত আলোচনার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে হামাসের চেয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের অনাগ্রহ বেশি বলে দাবি করেছেন গ্রুপটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হুসাম বাদরান। তার ভাষায়, যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে আমাদেরই আগ্রহ বেশি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ৪৮৯ পদ সৃজনের সিদ্ধান্ত

ব্যাটে-বলে নিষ্প্রভ সাকিব, তবু জয় পেয়েছে তার দল

নতুন এমপিও নীতিমালা প্রকাশ, এল বড় পরিবর্তন

বেপরোয়া গতির অ্যাম্বুলেন্স গিয়ে পড়ল পুকুরে, অতঃপর...

অস্ত্র সমর্পণের জন্য নতুন শর্ত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের

শ্যালিকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার বলিউড পরিচালক

যোগদান করেই যে নির্দেশনা দিলেন চট্টগ্রামের নতুন এসপি

মামলার বিষয়ে শিশির মনিরের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশে সৎ নেতার অভাব : এটিএম আজহার

কবরে মিলল বস্তাভর্তি একনলা বন্দুক-পাইপগান

১০

জনগণের আমানত মনে করে সেতুর কাজ করতে হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

১১

ইংল্যান্ডের হারের পেছনে ম্যাককালামের অদ্ভুত অজুহাত

১২

দেশের মানুষের বিপদে বেগম খালেদা জিয়া সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছেন : মিনু

১৩

চাঁদাবাজির মামলায় নওরোজ সম্পাদক দুররানী কারাগারে

১৪

নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে : মান্না

১৫

মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির খুনিদের দ্রুত শাস্তির দাবি এটিএম আজহারের

১৬

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জনসেবায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান চসিক মেয়রের

১৭

জব্দ সার অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির অভিযোগ

১৮

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এনইআইআর নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করবে : আমীর খসরু

১৯

আবারও দেশসেরা ক্রেডিট রেটিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক

২০
X