মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এই অস্ত্রের মোতায়েন নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ রয়েছে। তা ছাড়া এই বোমা শতাধিক দেশে নিষিদ্ধ। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। গত বৃহস্পতিবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লুকাশেঙ্কো এ প্রস্তাব দেন। খবর আলজাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানের।
ক্লাস্টার বোমাসহ নতুন অস্ত্র প্যাকেজের ঘোষণা স্থানীয় সময় শুক্রবারই দেওয়ার কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিন মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্টদের উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ওই অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। ক্লাস্টার বোমা একটি বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে প্রচুর পরিমাণে ছোট বোমা ফেলে দেয়, যা যুদ্ধের সময় ও তার অনেক পরে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। কারণ কিছু বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকে। এই বোমা এখন ইউক্রেনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন লুকাশেঙ্কো : রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের বিদ্রোহ দমনে মধ্যস্থতা করেছিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। এবার তিনি মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লুকাশেঙ্কো এ প্রস্তাব দেন। রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেন, মস্কো ও কিয়েভ যদি প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, তবে আমি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেন একটি কানাগলির শেষ মাথায় পৌঁছে গেছে; তবে এখনো সময় এবং উপায় রয়েছে একটি রাস্তা খুঁজে নেওয়ার। রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন রাশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন বেলারুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু প্রিগোজিন বা রুশ কর্তৃপক্ষ কেউই বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তাই তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বক্তব্যের পর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনার সদর দপ্তরে অভিযান চালায় রাশিয়ার পুলিশ। উদ্ধার করে প্রচুর গোলাবারুদসহ ছদ্মবেশ ধারণের একাধিক উপকরণ ও নির্যাতনের হাতিয়ার। এর আগে, গত ২৩ জুন ওয়াগনার গ্রুপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এমনকি ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে তারা রাশিয়ায় প্রবেশ করে সীমান্তবর্তী একটি সেনা ঘাঁটিও দখল করে নেয়। পরে অবশ্য বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থামায় ওয়াগনার।
মন্তব্য করুন