স্থানীয় নির্বাচন আগে হবে নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে শুধু নির্বাচন আয়োজন করা। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের পঞ্চম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। এ সময় নির্বাচন ভবনের বাইরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা স্থানীয় নির্বাচন আগে করা এবং ইসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।
এনসিপির আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না। স্থানীয় নির্বাচন তারা আগে চাচ্ছে—এমন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের সিক্যুয়েন্স কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে এটার পরিবর্তিত পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে বা পরে হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে।
কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এনসিপির তোলা প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর মন্তব্য করতে চাই না। কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং করে যাবে।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ওই কমিশনার বলেন, আমরা আইনের বলে কাজ করেছি। আমরা স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ফাইল ঘেঁটে দেখার চেষ্টা করেছি যে, কখনো নির্বাচন কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে পক্ষভুক্ত হয়েছে কি না, বা আপিল করেছে কি না। আমরা এমন কোনো নজির পাইনি। সুতরাং আমাদের পক্ষভুক্ত হওয়ার বা আপিল করার সুযোগ আইন আমাদের দেয়নি।
কমিশন বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনকে কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তত্ত্বাবধানে হবে, এমন বিধান অনুমোদন করেছে কমিশন। দল ও প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার বিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। দুটোই বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি এ নিয়ে কাজ করে পরবর্তী সময়ে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে।
মন্তব্য করুন