আমজাদ হোসেন হৃদয়
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ডাকসু নির্বাচন

ইশতেহার-প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবতার বিস্তর ফারাক

ভোট টানার কৌশল বলছেন শিক্ষার্থীরা
ইশতেহার-প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবতার বিস্তর ফারাক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে একের পর এক ইশতেহার ঘোষণা করছেন বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিতে ভরে উঠছে পোস্টার-ব্যানার আর প্রচারণার মঞ্চ। কেউ বলছেন, নতুন হল তৈরি করবেন, কেউ দিচ্ছেন হোস্টেল নির্মাণের আশ্বাস, আবার কেউবা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আবাসন ভাতার। এ ছাড়া প্রশাসনিক ও একাডেমিক নানা সংস্কারের ঘোষণাও আসছে।

তবে শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন—এসব প্রতিশ্রুতি আসলেই কতটা বাস্তবায়নযোগ্য? অনেকে বলছেন, ইশতেহারে উল্লিখিত বহু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দীর্ঘমেয়াদি বা অযৌক্তিক, আবার এমন অনেক প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারের মধ্যেই পড়ে না। অলীক এমন অনেক প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা শুধু ভোটার টানার কৌশল মাত্র, শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যার সমাধান নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আকাশকুসুম’ প্রতিশ্রুতি প্রকৃতপক্ষে প্রতারণার শামিল, আর এতে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত স্বার্থই আড়ালে থেকে যাচ্ছে।

ছাত্রদল ইশতেহার দেয় গত ২৮ আগস্ট। বিজয়ী হলে ১০ দফায় মোট ৭৫টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন সংগঠনের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। ৩০ আগস্ট মধুর ক্যান্টিনে আট দফার ইশতেহার ঘোষণা করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল। পরদিন একই জায়গায় ইশতেহার ঘোষণা করে সাতটি বাম ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’। ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু। ১ সেপ্টেম্বর ডাকসু ভবনের সামনে ১২ মাসে ৩৬টি বিষয় সংস্কারের লক্ষ্য জানিয়ে ইশতেহার দেয় ছাত্রশিবির। তাদের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর পক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেন এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খান। একই স্থানে বিকেলে ১৩ দফার ইশতেহার ঘোষণা করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল। গত মঙ্গলবার মধুর ক্যান্টিনে ১১ দফার ইশতেহার দেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। এ ছাড়া অন্যান্য প্যানেল ও প্রার্থীরা তাদের ঘোষিত ইশতেহারে দিচ্ছেন নানা সুবিধার ঘোষণা।

ছাত্রদলের ইশতেহারে নানা প্রতিশ্রুতি উঠে এসেছে। প্রথম দফায় সংগঠনটি জানায়, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে সময়োপযোগী অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ ও শ্রেণিকক্ষ বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে সংগঠনটি। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ এবং দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেই এমন পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছিল; কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ছাত্রদলের দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, পড়াশোনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতিকালে বেকার নারী গ্র্যাজুয়েটদের জন্য স্বল্প খরচে আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এ লক্ষ্যে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় হোস্টেল নির্মাণের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সংগঠনটি। এ ছাড়া ইশতেহারে কারিকুলাম, অবকাঠামো ও পরীক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, গবেষণার মানোন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যাটারিচালিত শাটল বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে। তবে এসব প্রতিশ্রুতি শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা কতটা সম্ভব, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ইশতেহারে প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করার উল্লেখ রয়েছে। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার কথাও বলেছে সংগঠনটি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হল নির্মাণ মূলত প্রশাসনের কাজ; ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চাইলে প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করতে পারেন; কিন্তু সরাসরি বাস্তবায়নের এখতিয়ার তাদের নেই। পাশাপাশি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে হল নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া এক বছরের জন্য ডাকসুর নির্বাচিত এসব প্রতিনিধির মাধ্যমে অস্থায়ী হোস্টেল, আবাসন ভাতা কিংবা প্রথম বর্ষ থেকেই সবার জন্য বৈধ সিট নিশ্চিত করা কতটা সম্ভব, তা নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অনাবাসিক অবস্থায় রয়েছেন।

বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদের ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে অন্তত ১০ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। অথচ গত ১০ বছরে এ খাতে বরাদ্দ এক থেকে দুই শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এ ছাড়া নারীদের হলে ঢোকার সময়সীমা প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছে প্যানেলটি। তবে এ দাবির সঙ্গে একমত নন অনেক নারী শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আগে জানিয়েছিল, এ দাবি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। ইশতেহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া জমি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ এবং বিআরটিসি থেকে ভাড়াভিত্তিক নয়, বরং নিজস্ব অর্থায়নে বাস কেনার পরিকল্পনা। তবে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন—এ ধরনের প্রতিশ্রুতি আদৌ কতটা বাস্তবায়নযোগ্য।

বাগছাস সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ইশতেহারে রয়েছে স্বচ্ছ নিয়োগ নীতিমালা, ওয়ান স্টপ সলিউশন, পেপারলেস প্রশাসন, এলএমএস বিস্তার, ডিজিটাল ক্লাসরুম, ল্যাব আধুনিকায়ন এবং শিক্ষক মূল্যায়নের কথা। উমামা ফাতেমার ঐক্য প্যানেলের প্রতিশ্রুতিতে রয়েছে—কারিকুলাম ও গবেষণা খাতের বাজেট দুই ভাগ থেকে ২০ ভাগে উন্নীতকরণের জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেটে শিক্ষার্থীদের খাদ্যের ওপর ভর্তুকি আদায় এবং শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণের লক্ষ্যে রূপরেখা তৈরি ও তা নিশ্চিতে উদ্যোগ গ্রহণ। ছাত্র অধিকার সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেলের ইশতেহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্থাপনার টেম্পার টেস্ট এবং হল ও একাডেমিক ভবনসহ ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা ও পুকুরগুলোর সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ডাকসুর আরও অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এবং হল সংসদের প্রার্থীরা নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যা অনেক বেশি দীর্ঘমেয়াদি, অবাস্তবায়নযোগ্য কিংবা শিক্ষার্থী প্রতিনিধির আওতার বাইরে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইখ আল তমাল কালবেলাকে বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ঘিরে অনেক প্রার্থীই যুগোপযোগী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তবে এর মধ্যে অনেকেই ইশতেহারে এমন বেশ কিছু ঘোষণা দিয়েছেন যেগুলো প্রকৃতপক্ষে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রতিফলন ঘটায় না। যেমন একজন প্রার্থী তার ইশতেহারে বলেছেন, সাবেক শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় আবাসনের বন্দোবস্ত করে দেবেন। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সাবেকদের হল ছাড়ার পর আবাসন সমস্যা অনুধাবন থেকেই বলতে পারি, এ ধরনের ইশতেহার প্রকৃতপক্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অনেক প্রার্থীর ইশতেহার পড়লে মনে হবে এটা কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন নয় বরং জাতীয় নির্বাচনী প্রচারণা।’

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ আব্দুর রহীম বলেন, ‘ডাকসুকে ঘিরে বিভিন্ন প্রার্থী নানা ধরনের ইশতেহার ঘোষণা করছেন। তবে এর মধ্যে অনেক ইশতেহার এমন বিষয়কে কেন্দ্র করে দেওয়া হচ্ছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর দায়িত্বের আওতায়ই পড়ে না। আবার কেউ কেউ এমন উচ্চাভিলাসী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যা বাস্তবে বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে কেবল শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য অযৌক্তিক ও অলীক প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দেখা যাচ্ছে, যা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তারা নিজেরাই ভঙ্গ করার সম্ভাবনা প্রবল। ২০১৯ সালের ডাকসুর অভিজ্ঞতার দিকেও তাকালে আমরা এমন উদাহরণ দেখতে পাই। যারা গেস্টরুম ও গণরুমের বিরুদ্ধে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচনের পর তাদেরই অনেকে গেস্টরুম ও গণরুম সংস্কৃতিকে আরও শক্তভাবে ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’

একই ধরনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইনুল ইসলামের। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি অনেক প্রার্থীর ইশতেহার দেখেছি। এর বড় একটি অংশ আসলে আকাশকুসুম কল্পনা। অনেক বিষয় তো ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারের মধ্যেই পড়ে না। ডাকসু একটি ইউনিয়ন বা চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী, যাদের ভূমিকা মূলত ওয়াচডগ (পর্যবেক্ষক) হিসেবে কাজ করা, যাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষমতা তাদের নেই।’

এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘এক বছরের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে বড় কোনো অবকাঠামোগত বা দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ ইশতেহারগুলোয় সেসব বিষয়ই বেশি উঠে আসছে। এতে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অনেক সময় আড়ালে পড়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য অবশ্যই প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি, কিন্তু ভোট টানার জন্য জনপ্রিয় ও অবাস্তব এজেন্ডা ঘোষণার প্রবণতা কোনো ভালো প্র্যাকটিস নয় বরং প্রতারণা।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিআইডির ওপর হামলা, যুবক আটক

শুল্কের প্রভাব কমাতে এসি, চা ও স্কুল সরঞ্জামের দাম কমাচ্ছে ভারত

আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্নের কথা জানালেন জামায়াত আমির

গুরুতর অভিযোগে আর্জেন্টিনাকে কোটি টাকার জরিমানা ফিফার

সুরমা নদীতে ভাসছিল জমিয়ত নেতার মরদেহ

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার পেছনে অস্ত্র হিসেবে পানি ব্যবহার করছে ভারত? 

অশ্লীল স্পর্শের শিকার অক্ষয় কুমার

শিশু তাসনুহার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

‘ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে কাদের জায়গা নিশ্চিত?’, উত্তর দিলেন আনচেলত্তি

১০

ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন

১১

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হলো 

১২

ইঁদুরের কামড়ে হাসপাতালে প্রাণ গেল নবজাতকের

১৩

যে ৮ কারণে মুখের চামড়া কুঁচকে যায়

১৪

মোবাইল চার্জ দেওয়ার সঠিক সময় কখন?

১৫

বিয়ের ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের দায়ে যুবকের ২০ বছর কারাদণ্ড 

১৬

মুগ্ধতায় মিম

১৭

এক নজরে দেখে নিন এশিয়া কাপের ৮ দলের স্কোয়াড

১৮

এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের সেরা একাদশ বাছাই করলেন আকাশ চোপড়া

১৯

ফেসবুকে কোন সময়ে পোস্ট দিলে বেশি ভিউ পাওয়া যায়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

২০
X