মাহমুদুল হাসান
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৭ এএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাস্থ্য বিভাগের অনেকের সঙ্গে সখ্য

স্বাস্থ্যে আবার মিঠু চক্র

স্বাস্থ্যে আবার মিঠু চক্র

কোনোটির দাম বাজারদরের চেয়ে শতগুণ বেশি, কোনোটি আবার আট-দশ গুণ। দরপত্রে নির্দিষ্ট দেশে তৈরি হওয়ার শর্ত থাকলেও নিম্নমানের পণ্যের গায়ে ওই দেশের ট্যাগ লাগিয়ে সরবরাহ করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে কাজ না করেই তুলে নেওয়া হতো বিল। স্বজনদের নামে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে একাই নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটা। আর এসব যাদের দেখভাল করার কথা, তারা যেন অনেকটাই থাকতেন আড়ালে। বিল ছাড় করতে পারলেই যেন বেঁচে যেতেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই চিত্র বিরাজ করছিল স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটায়—যার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক ছিলেন মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। করোনাকালে একের পর এক অনিয়ম সামনে আসায় বছর দুয়েক অনেকটা আড়ালে ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যের কেনাকাটায় লুটপাটের মূল হোতা সম্প্রতি আবার সরব হয়েছেন। আগের প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় নতুন কোম্পানির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৪—এই পাঁচ বছর স্বাস্থ্য খাতের শত শত কোটি টাকা লোপাটের সঙ্গে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু সিন্ডিকেটের জড়িত থাকার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। ওই সময় লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ এবং টেকনোক্রেট লিমিটেড নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া লেংকিন মার্চেন্ডাইজ, সিআর মার্চেন্ডাইজ ও এলআর এভিয়েশন, জিইএফ অ্যান্ড ট্রেডিং, ট্রেড হাউস, মেহেরবা ইন্টারন্যাশনাল, ক্রিয়েটিভ ট্রেড, ফিউচার ট্রেড, লেক্সিকোন আইটি, টেকনো ট্রেড, বিলিয়ার এভিয়েশন, সিএসই অ্যান্ড ট্রেডিং, হ্যাভ ইন্টারন্যাশনাল, লেসিকোন হসপিটালেট এবং নর্থ ট্রেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ মে রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কার্যাদেশে মিঠু সিন্ডিকেটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিউ-সোর্স কোম্পানি ফিলিপস ব্র্যান্ডের ৫০০ এমএ ডিজিটাল মোবাইল এক্স-রে মেশিন ৩ কোটি ১৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০ টাকায় সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত এক্স-রে মেশিনের প্রস্তুতকারী দেশ হিসেবে জার্মানিকে দেখানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জার্মানিতে ফিলিপস ব্র্যান্ডের কোনো পণ্য তৈরি হয় না। কার্যাদেশে ছয় মাসের মধ্যে এক্স-রে মেশিনটি সরবরাহ করার কথা বলা হয়। অথচ মিঠুর মালিকানাধীন কিউ-সোর্স পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি হাসপাতালে সরবরাহ করে। নতুন মেশিনটিতে ১৪ জনের এক্স-রে করার পর সেটি বিকল হয়ে যায়। এরপর সেটি আর সচল করা সম্ভব হয়নি। নিরুপায় হয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠান।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ১৪টি এক্স-রে করার পর মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে। বিষয়টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কিউ-সোর্স কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু তারা মেশিনটি চালু করতে ব্যর্থ হয়। পরে রংপুর বিভাগীয় পরিচালকের মাধ্যমে ওই মেশিন মেরামতের জন্য রাজধানীর মহাখালী সরকারি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান নিমিউ অ্যান্ড টিসিতে পাঠানো হয়। কিন্তু নিমিউ অ্যান্ড টিসি কর্তৃপক্ষও মেশিনটি চালু করতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিউ-সোর্সের মালিক মোকছেদুল ইসলাম। তিনি স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর বড় ভাই। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, এক্স-রে মেশিনটির সোয়া তিন কোটি টাকা মূল্য দেখানো হলেও সরবরাহের সময় মেশিনের প্রকৃত দাম পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকার বেশি ছিল না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নয়, রংপুর জেলার সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই নিম্নমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে এই চক্র।

কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রংপুর সিভিল সার্জন অফিসের অধীনে সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই দরপত্রে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কিউ-সোর্সকে যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৯ মে কার্যাদেশ পাওয়ার পরদিনই জার্মানি, ব্রাজিল, কোরিয়া, ইউএসএ, তাইওয়ান, পোল্যান্ড, চীন ও জাপানের তৈরি বিভিন্ন আইটেমের ২৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯০ টাকার যন্ত্রপাতি সরবরাহ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে। একই দরপত্রে আরও ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়।

২০১৮ সালের ২৩ জুনের আরেক কার্যাদেশে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জার্মানির ইআরবিএ ব্র্যান্ডের একটি সেমি অটো বায়োকেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা দরে ৫টি মেশিন ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় সরবরাহ করে। অন্যদিকে, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কার্যাদেশে মিঠু সিন্ডিকেটের মালিকানাধীন কিউ-সোর্স কোম্পানি দক্ষিণ কোরিয়ার রায়টো ব্র্যান্ডের একটি সেমি অটো কেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার মেশিন ৮ লাখ টাকায় সরবরাহ করে। আবার ২০১৬ সালের ২৭ জুন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের জি-১৫২৩ প্যাকেজের কার্যাদেশের আওতায় বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি চীনের অরিপ ব্র্যান্ডের ৫০০ এমএ এক্স-রে মেশিন (সিআর ও ড্রাই লেজার ইমেজ) ৩১ লাখ ৬৩ হাজার ৫২০ টাকায় সরবরাহ করে। অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করেই কোটি কোটি টাকার বিল তুলে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

রংপুরের মতো ঠিকাদার মিঠুর জাল সারা দেশে ছিল বিস্তৃত। একের পর এক হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন তারা। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন কেনাকাটায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই সিন্ডিকেট।

স্বাস্থ্য খাতে সরকারি কেনাকাটার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ মে এক কার্যাদেশের বিপরীতে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকায় জার্মানির কার্ল স্টোর্জ ব্র্যান্ডের একটি এন্ডোস্কপি মেশিন সরবরাহ করে মিঠু সিন্ডিকেটের ক্রিয়েটিভ ট্রেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। একই বছরের ২৩ জুনের অপর এক কার্যাদেশের বিপরীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাপানের অলিম্পাস ব্রান্ডের একটি ভিডিও এন্ডোস্কোপি মেশিন ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় সরবরাহ করে বেঙ্গল সাইন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি।

২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে এক কার্যাদেশের বিপরীতে মিঠু সিন্ডিকেটের জিইএস অ্যান্ড ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিপস ব্রান্ডের ১২৮ স্লাইসের সিটি স্ক্যানার মেশিন ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় সরবরাহ করে। অথচ ২০১৭ সালের ২১ জুন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের জিআর-১৬২০ প্যাকেজের আওতায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের তশিবা ব্রান্ডের ১৬০ সিটি স্ক্যান মেশিন ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৭০০ টাকায় সরবরাহ করে।

মিঠু সিন্ডিকেট দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিপস ব্র্যান্ডের একটি বড় সিটি স্ক্যান মেশিন ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকায় সরবরাহ করে। একই ব্রান্ডের একটি সিটি স্ক্যান মেশিন অন্য একটি ঠিকাদারি সরবরাহ করেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার টাকায়। ২০১২ সালের ৭ মার্চ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক কার্যাদেশের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিপস ব্রান্ডের ৬৪ স্লাইস সিটি স্ক্যান মেশিন ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকায় সরবরাহ করে মিঠু সিন্ডিকেটের মালিকানাধীন লেক্সিকন মার্চেন্ডাইজ। ২০১২ সালের ১৪ জুন অন্য একটি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের জিআর-১১০৩ প্যাকেজের আওতায় এক কার্যাদেশে প্রতিষ্ঠান জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ৬ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিপস ব্রান্ডের ৬৪ স্পাইরাল সিটি স্ক্যানার মেশিন সরবরাহ করে।

এ ছাড়া ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের কার্যাদেশের বিপরীতে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ টাকা দরে ২০টি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) লাইট, ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫০ টাকা দরে ৪টি সিঙ্গেল/ ডাবল ডেমো ওটি লাইট, ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮০ টাকা দরে তিনটি হাইড্রোলিক ওটি টেবিল সরবরাহ করে। এবং ২০১৭ সালের ৪ জুন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের এক কার্যাদেশের বিপরীতে ১ লাখ ২০ হাজার ৯০০ টাকা দরে দুটি হাইড্রোলিক লেবার লাইট সরবরাহ করে। অন্যদিকে ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বরের এক কার্যাদেশে মিঠুর কিউ-সোর্স ৫১ লাখ টাকায় একটি ওটি লাইট, ৪৫ লাখ টাকায় সিঙ্গেল/ ডাবল ডেমো ওটি লাইট, ৪৬ লাখ টাকায় হাইড্রোলিক ওটি টেবিল এবং ৩৫ লাখ টাকা দামে হাইড্রোলিক লেবার টেবিল রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়কে সরবরাহ করে।

এসব কেনাকাটায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহকৃত মেডিকেল মেশিনারিজের দাম পার্থক্য করে দেখা গেছে মিঠু সিন্ডিকেট বড় সিটি স্ক্যান মেশিন, মাঝারি ভেডিও এন্ডোস্কপি, সেমি অটো কেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার, এক্স-রে মেশিন ৫০০০এমএ এবং ছোট অপারেশন থিয়েটার (ওটি) লাইট, ওটি টেবিল এবং লেবার টেবিল কেনাকাটায় অন্যান্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছে।

সূত্র বলছে, বেশ কয়েক বছর স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নীরব থাকলেও ফের সক্রিয় হচ্ছে এই সিন্ডিকেট। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মিঠু, তার পরিবার এবং সিন্ডিকেটের সদস্যদের প্রায় সবার প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য বিভাগের কালো তালিকাভুক্ত। ফলে চাইলেও তারা এখন কাজ করতে পারছেন না।

তবে একাধিক সূত্র বলছে, স্বাস্থ্যবিভাগের অনেক কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যর সুবাদে ফের সক্রিয় হচ্ছে মিঠু সিন্ডিকেট। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অপ্রচলিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম। ওইসব কোম্পানির ব্যানারে কাজ নেওয়ার জন্যে মিঠু সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকজন সদস্য এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে ছুটোছুটি করছেন।

স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কি না—জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘মিঠুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে যারা কেনাকাটা করেছেন, তারা বলতে পারবেন সেইসব প্রকল্পের সবশেষ পরিণতি কী হয়েছে। এসব বিষয়ে আমি তেমন কিছুই জানি না। আপনি রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে খোঁজ নিতে পারেন।’

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে স্বাস্থ্যের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী কালবেলাকে জানান, মিঠু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

দেশে অবস্থানরত তার ভাই ও ব্যবসায়িক অংশীদার মোকছেদুল ইসলাম মিরুর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে ও খুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কীভাবে আপনার জন্য সেরা টিভি বাছাই করবেন

প্রচণ্ড ঠান্ডা নিয়ে সতর্কতা

পাকিস্তান সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল বিসিবি

স্বাস্থ্যের সাবেক এডিজি দিলু আরা বেগম মারা গেছেন

সিইসির কাছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ১০ দাবি

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইসির বিজ্ঞপ্তি

ড্রয়ের আগে জেনে নিন ২০২৬ বিশ্বকাপের নতুন সব নিয়ম

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের দোয়ার আয়োজন

শাকিবের যে উপদেশে বদলে গেলেন অপু

‘দেশের জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব আরও ৫ বছর অত্যন্ত প্রয়োজন’

১০

দেশে ভিভিআইপি ও ভিআইপি কারা, কী সুবিধা পান তারা

১১

নির্বাচন-গণভোটের সম্ভাব্য তারিখ জানালেন ইসি আনোয়ারুল

১২

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে ওয়েবিনার

১৩

ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়

১৪

অনেকের শাসন দেখেছেন এবার ইসলামপন্থিদের সুযোগ দিন : রেজাউল করীম

১৫

গাছে হাত-পা বাঁধা অটোরিকশাচালকের মরদেহ

১৬

ঝুঁকির মুখে ৭১ কিমি রেলপথে ট্রেন চলাচল 

১৭

গৃহবধূ লাবনী হত্যার রহস্য উন্মোচন

১৮

স্বেচ্ছাশ্রমে খেলার মাঠ ভরাট করল বিএনপির নেতাকর্মীরা

১৯

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য কারাগারে বই চেয়েছেন সাবেক এমপি তুহিন

২০
X