রাজকুমার নন্দী
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৮ এএম
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সাক্ষাৎকারে জোনায়েদ সাকি

সরকারই বিরোধী সব দলকে এক কাতারে এনেছে

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে দেশের জনগণ নীরব প্রতিরোধের সূচনা করেছে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সার্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গতকাল শনিবার কালবেলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও আদর্শিক পার্থক্য থাকলেও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকারই বিরোধী সব দলকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছে।

সরকারের দমন-পীড়নকে রাজপথে নামার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম এই নেতা বলেন, এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জনগণের শক্তিকে সংগঠিত করাই আগামীতে তাদের চ্যালেঞ্জ।

সাক্ষাৎকারে জোনায়েদ সাকি চলমান আন্দোলনের সাফল্য-ব্যর্থতা, সরকারের মেয়াদ, জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে ভিন্নমত, গণতন্ত্র মঞ্চের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো—

কালবেলা: সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে আপনারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছেন; কিন্তু আপনাদের দাবি পূরণ ছাড়াই নির্বাচন হয়ে গেল? এ অবস্থায় গত এক বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

জোনায়েদ সাকি: বাংলাদেশে বিদ্যমান যে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, এটা একটা স্বৈরতান্ত্রিক-কর্তৃত্ববাদী-ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্ত। বিদ্যমান সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামো এর ভিত্তি। এই বন্দোবস্ত বদল করে একটা গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য সংবিধান সংস্কার করে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করা, সাংবিধানিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক রূপান্তরের লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছি। সাম্প্রতিককালে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের ৩১ দফা লক্ষ্য সামনে রেখে আন্দোলনের পদ্ধতি হিসেবে যুগপৎ ধরন সামনে এনে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে এক বছর ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন করছি। এতে জনগণের বিপুল সাড়াও আমরা পেয়েছি। তবে ২৮ অক্টোবরে এসে সরকার যেভাবে একটা নাশকতার দায় চাপিয়ে পুরো আন্দোলনের ওপর ক্র্যাকডাউন করল, সে কৌশলের বিষয়ে যে ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার ছিল—সেটা গ্রহণ করতে বিরোধী দল পুরোপুরি সফল হয়নি। সরকার ব্যাপক দমন-পীড়ন করেছে; মানুষ যাতে নামতে না পারে, ভয়-ত্রাসের একটা রাজত্ব কায়েম করেছে। বিএনপি মহাসচিবসহ বিরোধী দলের অন্তত ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে তারা জেলে পুরেছে। তা সত্ত্বেও যতটা সম্ভব আমরা জনগণকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যুক্ত করতে চেষ্টা করেছি এবং আমরা একপর্যায়ে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছি। জনগণ সেই বর্জনের ডাকে বিপুলভাবে সাড়া দিয়েছে। আমরা মনে করি, ৯০ ভাগের বেশি মানুষ এই প্রহসনের ভোট বর্জন করেছে এবং ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই একতরফা এবং শুধু নিজেদের মধ্যে আসন ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন মানুষ গ্রহণ করেনি।

বিরোধী দলের ডাকে যেমন জনগণ সাড়া দিয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকে বিরোধী দলের সমর্থক নাও হতে পারে, কিন্তু তারাও এই অন্যায় প্রক্রিয়ায় শামিল হতে চায়নি। ফলে তারাও ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করি, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন এবং তার মধ্য দিয়ে যে প্রত্যাখ্যান, সেটা নতুন নীরব গণপ্রতিরোধের সূচনা। এটার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরবর্তী আন্দোলন শক্তিশালী করতে চাই। বিশেষ করে যে প্রবল রাষ্ট্রশক্তি একটা দলীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে, তাকে মোকাবিলা করার জন্য নতুন আন্দোলনের ধরন ও পথ অনুসন্ধান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা শুধু একটি সরকারকে মোকাবিলা করছি তা নয়, পুরো রাষ্ট্রশক্তি এখন সরকারের পেছনে একাট্টা হয়ে আছে। এটিকে মোকাবিলা করে আমরা জনগণের শক্তিকে সংগঠিত করতে চাই এবং সেটাই সামনের দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ।

কালবেলা: আগামীতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আপনারা কোন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন?

সাকি: জনগণকে আরও বেশি করে কীভাবে রাজপথে নিয়ে আসা যায় এবং বিশেষ করে জনগণের যে দাবি-দাওয়াগুলো আছে, আন্দোলন প্রক্রিয়ায় আমরা সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করব। জনগণ এরই মধ্যে অনেক সংকটের মধ্যে আছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকা মানেই জনগণের সংকট আরও ঘনীভূত হওয়া।

বিদ্যমান শাসনের মধ্যে জনগণের যে প্রথাগত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠানগুলো সেটা ট্রেড ইউনিয়নই হোক, বিভিন্ন পেশাজীবীর ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম হোক, ছাত্র-যুব-নারীদের বিভিন্ন রকম ঐক্যবদ্ধ সংস্থা হোক—সেগুলো নানাভাবে দুর্বল করে ফেলেছে, প্রায় নাই করে ফেলেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে কীভাবে আন্দোলনকে আবার পুনঃসংগঠিত করতে পারি এবং এর মধ্য দিয়ে একটা ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি করতে পারি—সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

কালবেলা: জাতিসংঘ, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ অনেক দেশ এরই মধ্যে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মনোভাবও এখন নমনীয় মনে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলের এমন অবস্থানকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

সাকি: বাংলাদেশের নির্বাচন কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক ধরনের বিভাজিত অবস্থা আমরা আগেই দেখেছি। বেশ কয়েকটি দেশ স্থিতিশীলতার কথা বলে প্রায় প্রত্যক্ষভাবে সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, পশ্চিমা বিশ্বের দিক থেকে আমরা দেখেছি যে, তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার এবং একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য লড়াই করছে। জনগণ আশা করে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশ—বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে তাদের এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন থাকবে। বাংলাদেশের জনগণেরও যেমন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন আছে। ফলে যেসব দেশ আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সমর্থন করছে, মানুষ তাদের স্বাগত জানায়; আবার যারা নানাভাবে কখনো স্থিতিশীলতার কথা বলে, আবার কখনো অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে, আসলে বর্তমান সরকারেরই একতরফা নির্বাচন এবং এ ধরনের একটা জনসম্মতিহীন শাসনের প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, তাদের ব্যাপারেও জনগণের মধ্যে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। জনগণ প্রত্যাশা করে যে, বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, তাদের সংগ্রামের প্রতি সব দেশই তাদের সমর্থন বজায় রাখবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতি যেন এ দেশের জনগণই নির্ধারণ করতে পারে, সে ব্যবস্থার জন্য পৃথিবীর সব দেশের একটা সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

কালবেলা: বিএনপি ও যুগপতের শরিকদের আন্দোলনের মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তী সময়ে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সংসদ ও সরকার সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

সাকি: দেশে ৭ জানুয়ারি যা হয়েছে, সেটাকে আমরা কোনো নির্বাচন মনে করি না। এটা নির্বাচনের নামে জনগণের ভোটের অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার একটা তৎপরতা। অধিকাংশ বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে। সরকারের দিক থেকে এ নির্বাচনটা ছিল একটি একতরফা নির্বাচন। নির্বাচনটাকে তথাকথিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখানোর জন্য তারা নিজেদের দলের প্রার্থীদের স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। এমনকি এ রকম একটি একতরফা, নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনেও তারা ব্যাপক সহিংসতা করেছে। এরই মধ্যে ১৩ জন মানুষ নিহত, তিনশর বেশি মানুষ আহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, জনগণ যেহেতু ব্যাপক হারে ভোট বর্জন করেছে, ভোটকে বেশি সংখ্যায় দেখানোর জন্য তারা ব্যাপকভাবে ব্যালট স্টাফিং অর্থাৎ নিজেরা সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলা, সেটা তারা করেছে। এই অভিযোগগুলো সরকারি দলের একাধিক নেতা করেছেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন প্রার্থীও করেছেন। তারা যাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল, তাদের বেশ কয়েকজনও করেছেন। তাদের মহাজোট মিত্র জাতীয় পার্টি, জোট মিত্র জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, নতুন তৈরি করা পার্টি—সবাই এ অভিযোগগুলো করেছে। আগে যেমন তারা বলত, কারচুপির প্রমাণ কোথায়? এখন প্রমাণ কিন্তু তাদের দল এবং মিত্রদের কাছেই রয়েছে। ভোটের হারকেও তারা নানাভাবে বাড়িয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে। উদ্দেশ্য, জনগণ ও বিশ্বকে দেখানো যে, এখানে নির্বাচনে ব্যাপক মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। এই নির্বাচন যে একতরফা এবং সেটি যে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটা এখন এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, তাদের ব্যাপক প্রচারণা সত্ত্বেও একে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা সম্ভব নয়। ফলে আমরা এই সংসদ বাতিল করে একটা অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি।

কালবেলা: আপনারা তো আগের দুটি সংসদকেও অবৈধ আখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সংসদ ও সরকার পুরো মেয়াদ বহাল থেকেছে। এবার ভিন্ন কিছু হবে বলে আশা করেন কি?

সাকি: সরকারের দিক থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তারা পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকার লাইসেন্স পেয়ে গেছে। আমরা মনে করি, জনগণ তাদের এ সময় দেবে না। এই নির্বাচনটির যে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতাও নেই—সেটা এরই মধ্যে জনগণের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। সরকারের দুঃশাসনের ফলে জনজীবনের বিদ্যমান সংকট প্রতিদিনই আরও গভীর করে তুলছে। সব কিছু মিলিয়ে এখানে একটা গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠবে এবং সেই গণআন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতাসীনরা অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।

কালবেলা: সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন বেগবান করতে শিগগির যুগপতের সম্প্রসারণ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না?

সাকি: আমাদের প্রধান বিবেচনা হচ্ছে, দেশের জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তার জন্য বিদ্যমান বন্দোবস্ত বদলে একটা গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা। সংবিধান সংস্কার, রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কার—এই লক্ষ্য সামনে রেখে আন্দোলন বিজয়ী করার জন্য কীভাবে আরও সমন্বয় সৃষ্টি করা যায়, তার সব পথ আমরা অনুসন্ধান করব। আন্দোলনের মধ্যে আরও অধিকতর সমন্বয় সৃষ্টি করে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গঠন করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

কালবেলা: আগামীর আন্দোলন সামনে রেখে জামায়াত ইস্যুতে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান কী হবে?

সাকি: গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যারা লড়াই করছেন, তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও আদর্শিক পার্থক্য আছে—এটা সত্য। কিন্তু ভোটাধিকার কোনো বিশেষ দলের একক দাবি নয়, সব দলেরই দাবি। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকারই বরং সব দলকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছে। ফলে যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন চলছে। যারা আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে, তারা যুগপৎ ধারায় আসছে, এক মঞ্চ তৈরি করছে কিংবা কেউ একদলেও পরিণত হতে পারে। এই ঐক্যের প্রক্রিয়াটি অব্যাহত থাকবে। তবে এখানে আদর্শগত পার্থক্যের বিষয়টি তো একেবারে বিলীন করে ফেলা যাবে না। সেই পার্থক্য সত্ত্বেও অধিকতর সমন্বয় কীভাবে হতে পারে, সেই বিবেচনা আন্দোলনকারী দলগুলোর মধ্যে সবসময় কাজ করছে।

কালবেলা: বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে গণতন্ত্র মঞ্চ কী করতে চায়?

সাকি: গণতন্ত্র মঞ্চ মনে করে, জনগণের শক্তিই তাদের মূল নিয়ামক। জনগণের শক্তিটা আরও ব্যাপকভাবে দানা বাঁধবে তখনই, যখন তাদের মধ্যে একটা আস্থা ও ভরসার জায়গা তৈরি হবে। সেজন্য আমরা রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের যে কর্মসূচি, বিদ্যমান ব্যবস্থা বদলের যে লক্ষ্য সামনে এনেছি, সেটা যত বেশি মানুষের মাঝে পৌঁছাবে, তত মানুষের মধ্যে ওই আস্থা-ভরসা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হবে। তারা বুঝতে পারবে যে, এই আন্দোলনের ফলে তাদের জীবনে এবং পুরো দেশের মধ্যে একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে। এটার জন্য আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করব। একই সঙ্গে এই রাষ্ট্রশক্তি যেভাবে সরকারের পেছনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন দমনে কাজ করছে এবং যেভাবে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মানুষকে বিপথগামী করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আমরা আমাদের মতাদর্শিক, চিন্তাগত লড়াইও করব। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যে আন্দোলন, সেগুলোর মধ্যে আমাদের যতটুকু সাংগঠনিক শক্তি আছে, সেটাকে সংহত ও বৃদ্ধি করে আন্দোলনকে একেবারে গোড়া থেকে গড়ে তোলার জন্য আমরা সর্বশক্তি নিযুক্ত করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ বিশ্ব মানবিক দিবস

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

২২ বছর ধরে মুয়াজ্জিনকে বিনামূল্যে খাওয়াচ্ছেন হোটেল মালিক 

এখনো দেড় হাজার অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ার কারণ জানাল র‌্যাব

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ইবিতে অভ্যুত্থানবিরোধী সেই ১৯ শিক্ষক কারা?

১৯ আগস্ট : আজকের রাশিফলে কী আছে জেনে নিন

আপত্তিকর ভিডিও ধারণ, দারোয়ানকে ৪ তলা থেকে ফেলে দিল প্রেমিক যুগল

ইউক্রেনের জন্য ভালো খবর আসতে পারে, ইঙ্গিত দিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

১০

গ্রেটার ইসরায়েল ধারণার জন্ম হলো যেভাবে

১১

আজ শেষ হচ্ছে এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা

১২

আশ্বাসে ‍সরে দাঁড়ালেন অনশনরত ২ শিক্ষার্থী, অন্যরা ‘অনড়’

১৩

সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চাকরির সুযোগ, আবেদন করুন অনলাইনে

১৪

হাসপাতালের সামনে অদ্ভুত আচরণ করছিল কিশোর, অতঃপর...

১৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬২ হাজার ছাড়াল

১৬

১৯ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৭

ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ

১৮

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

১৯

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২০
X