কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৯ এএম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পরিকল্পিত উদ্যোগ নেই

শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছে ব্যাংক একীভূতকরণ

শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছে ব্যাংক একীভূতকরণ

ব্যাংক খাতে সংস্কারের অংশ হিসেবে তুলনামূলক ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে রোডম্যাপও তৈরি করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১০টি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সুপরিকল্পিতভাবে এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি না মেনে একীভূত করতে যাওয়ায় এরই মধ্যে হোঁচট খেয়েছে এ উদ্যোগ। ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে একীভূতকরণের ভবিষ্যৎ নিয়েও। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও আগামী তিন বছরের মধ্যে আর কোনো নতুন ব্যাংক একীভূত করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগকে নীতিমালা না মেনে জোরপূর্বক একীভূতকরণ বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কথার সঙ্গে কাজের মিল না থাকায় এসব একীভূতকরণে নাম আসা ব্যাংকের আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ফলে এসব ব্যাংক থেকে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আমানত তুলে নিয়েছে। এতে তারল্য সংকটে পড়েছে ব্যাংকগুলো। এই উদ্যোগে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে আমি খুব বেশি আশাবাদী নই। যদিও অনেক দেশেই ব্যাংক মার্জারের ঘটনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সেসব দেশের অভিজ্ঞতা কাজে না লাগিয়ে জোরপূর্বকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক মার্জারের কাজটি শুরু করেছে। আর আমাদের দেশের বাস্তবতায় একটি সবল ব্যাংক কখনোই একটি দুর্বল ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে চাইবে না—এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কারণ, সবল এবং দুর্বল উভয় ব্যাংকই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং দুর্বল ব্যাংকের শেয়ারের দায় সবল ব্যাংক নেওয়ার ঘোষণায় সেই ব্যাংকের শেয়ারের দামও কমে যাচ্ছে, যা আগামী দিনে আরও বিপর্যয় ডেকে আনবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জোর করে একটা ব্যাংককে অন্য একটা ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করে দিলে তো ব্যাংক খাতের মূল সমস্যার সমাধান হবে না। খেলাপি ঋণে জর্জরিত পদ্মা ব্যাংককে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করা হচ্ছে। যেসব পরিচালকের কারণে পদ্মা ব্যাংকের আজকের এ পরিণতি তাদের কোনো শাস্তির আওতায় না এনে ৫ বছর পর নাকি তারা আবার এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবে। এটা কোন কথা হলো? প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিয়ে এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি না মেনে বাংলাদেশ ব্যাংক জোরপূর্বকভাবে তড়িঘড়ি করে মার্জ করে দিচ্ছে। এতে আমানতকারীরা আতঙ্কিত হয়ে তাদের আমানত তুলে নিচ্ছে। পুরো ব্যাংক খাতে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মার্জারের উদ্যোগটি হোঁচট খেয়েছে। ফলে কাজটি শেষ পর্যন্ত করতে পারবে কি না, সে বিষয়েও আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমত বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। কারণ কোনো একটি দুর্বল ব্যাংককে মার্জ করতে হলে প্রথমে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব করতে হবে। তারপর যে ঘাটতি থাকবে সেটি কে পূরণ করবে, সেটিও উল্লেখ করতে হবে। তারপর কাজটি করতে হবে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক এসব কিছু না করেই একরকম জোরপূর্বকভাবে তাড়াহুড়া করে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে মার্জ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে পদ্ধতিতে কিছু দুর্বলতা আছে। দ্বিতীয়ত, যেসব দুর্বলতার কারণে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে মার্জ করা হচ্ছে, সেখানে দুর্বল ব্যাংকগুলোর কোনো বক্তব্য থাকার কথা নয়। যদিও আমরা উল্টোটা দেখছি। দু-একটি দুর্বল ব্যাংক মার্জ না হওয়ার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েই সেটি করছে কি না—সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি আরও বলেন, একটা পর্যায়ে গিয়ে অবশ্যই জোর করেই মার্জ করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও থাকতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগে সেটির ঘাটতি রয়েছে বলেই মনে করছি।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাত বলেন, ব্যাংক মার্জারের নামে বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত অধিগ্রহণ করছে। কারণ আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী একীভূত করা হলে দুটি ব্যাংকের অস্তিত্ব থাকবে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে তেমনটি বলা হচ্ছে না। সেখানে একটি সবল ব্যাংকের অধীনে দুর্বল ব্যাংকটি বিলুপ্ত করা হচ্ছে। এটাকে আসলে মার্জার বা একীভূতকরণ না বলে অ্যাকুইজিশন বা অধিগ্রহণ বলা যুক্তিযুক্ত হবে। দ্বিতীয়ত, পদ্মা ব্যাংক বেশি দুর্বল আর এক্সিম ব্যাংকের অবস্থাও তেমন ভালো নয়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বেলায়ও একই কথা বলা যায়। ফলে একটি দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে আর একটি দুর্বল ব্যাংক মার্জ করা হলে সেই ব্যাংকটি কীভাবে তার অবস্থার উন্নয়ন ঘটাবে? নাকি তুলনামূলক ভালো ব্যাংকটিও দুর্বল হয়ে পড়বে? ফলে পদ্মা-এক্সিম একীভূতকরণের বিষয়টি রাজনৈতিক কোনো সিদ্ধান্ত কি না, সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি খাতের বেসিক ব্যাংককে কৌশলে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে চায় কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে। তা না হলে সরকারি খাতের অনেক ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও কেন এটিকে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হচ্ছে?

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, তুলনামূলক ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ নিয়ে সাধারণ আমানতকারীসহ অনেক ব্যাংকের পরিচালকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তে ভালো ব্যাংকগুলো চিন্তিত হয়ে পড়েছে। কারণ ভালো ব্যাংক যারা আছে, তারা তো নিয়মকানুন মেনে, কমপ্লায়েন্স মেনে, নানা ধরনের প্রতিকূলতা পার করে ভালো হয়েছে। ফলে তারা কেন একটি দুর্বল ব্যাংকের দায়িত্ব নেবে? আবার প্রকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলোর মালিক কারা—এ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, প্রভাবশালীদের দুর্বল ব্যাংক প্রভাব খাটিয়ে মার্জার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে।

কয়েক বছর ধরে ডজনখানেকের বেশি ব্যাংক মূলধন ঘাটতি, তারল্য সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সমস্যাগ্রস্ত এসব ব্যাংককে ‘দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত করে অপেক্ষাকৃত ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার জন্য সমঝোতা স্মারক সই করে। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা-এক্সিম নিজেরা একীভূত করার ঘোষণা দিলে এরপর আরও ৮টি ব্যাংক মার্জারের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ ব্যাংকের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই বাংলাদেশ ব্যাংক জোরপূর্বকভাবে মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে এসব ব্যাংকের বড় বড় আমানতকারী তাদের আমানত তুলে নিচ্ছে। ফলে তারল্য সংকটে পড়েছে ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে, পুঁজিবাজারেও এসব ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে। এসব ব্যাংকের শেয়ারের দর ফেসভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বেসিক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু মোহাম্মদ মোফাজ্জল কালবেলাকে বলেন, আমাদের না জানিয়ে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে মার্জারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আমাদের বড় বড় আমানতকারীরা তাদের আমানত তুলে নিচ্ছে। ফলে ব্যাংকটি আবার তারল্য সংকটে পড়েছে। বেসিক ব্যাংকের এই ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে সরকারকে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, গত সোমবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারা ইউসিবি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায় না। জানতে চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ব্যাংক। একটি বিশেষ পরিবারের আধিপত্যের কারণে কিছু শাখায় বড় ঋণ আদায় হচ্ছিল না। আর কর্মকর্তারা সেই পরিবারের সর্বেসর্বা ক্ষমতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেননি। সাধারণ গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পর আমি দায়িত্ব নিয়েছি। এখন তো ওই পরিবারের কর্তৃত্ব নেই। ব্যাংকের প্রায় ৩০০

শাখা-উপশাখার মধ্যে মাত্র হাতেগোনা ১১-১২টি শাখা ছাড়া সবগুলো মুনাফা করছে। এখন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার ফলে খেলাপি আদায় বেড়ে গেছে। সামনে লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, খুব শিগগির খেলাপি সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে আসবে। যদি না আসে, তখন একীভূত করা যেতে পারে।

জানা গেছে, একীভূতকরণ নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি সামলাতে গত ১৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিকদের ডেকে জানায়, আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনো একীভূতকরণের আবেদন নেওয়া হবে না। ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই করেছে। এ ছাড়া সিটির সঙ্গে বেসিক, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তও নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো ব্যাংক স্বেচ্ছায় না হলে জোর করে একীভূত করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে। তবে সেটা এখন করা হচ্ছে না। ন্যাশনালসহ ১০টি ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে কোনো ব্যাংক ভালো হলে একীভূত হবে না। এমনকি যদি সব ব্যাংক ভালো হয় তবে কোনো ব্যাংক একীভূত নাও হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সহায়তা না দিলেও ইরানকে সমবেদনা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

মিনিস্টার গ্রুপে নিয়োগ, বেতন ২০,০০০

উপজেলা নির্বাচন / বুথে ঢুকে ব্যালটে সিল, কর্মকর্তা বললেন কিছুই করতে পারিনি

ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা, আটক ৫

বিশ্বকাপের যে নিয়মগুলো জেনে রাখা ভালো

উপজেলা নির্বাচনেও জনগণের সায় নেই : মির্জা ফখরুল 

সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞায় খুশি হওয়ার কিছু নেই : ফখরুল

আবারো শক্তিমত্তার জানান দিল তুর্কি আকিনচি ড্রোন

চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ : ইসি সচিব

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের জন্মদিন আজ

১০

স্কয়ার গ্রুপে অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরির সুযোগ

১১

ভোটের মাঠে অসুস্থ ইউসুফ, বাসায় নিতেই মৃত্যু

১২

বায়োফার্মা হাউজিংয়ের সাবেক কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন কারাগারে

১৩

ভোর সাড়ে ৫টায় ভোট দিতে কেন্দ্রে যান উপেন

১৪

সড়কে ধান মাড়াই, বিড়ম্বনায় পথচারীরা

১৫

চট্টগ্রামের রাবার ড্যাম এখন কৃষকের জন্য অভিশাপ

১৬

২৯ মে যেসব এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

১৭

জাল ভোট দিতে গিয়ে কিশোর-কিশোরী আটক

১৮

বাহুবলে ৩ ঘণ্টায় পড়েছে ৭ শতাংশ ভোট

১৯

ঢাকা পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

২০
X