ড. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সেনাবাহিনীর গৌরব ও পরম্পরা

সেনাবাহিনীর গৌরব ও পরম্পরা

রাত জেগে আমি যখন এ লেখাটি লিখছি, তখন পরপর পঞ্চম রাতের মতো খাগড়াছড়ি থেকে অপরিচিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থীকে গহিন জঙ্গলে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সেনাবাহিনীর কয়েকশ সদস্য। মনে পড়ল ১৯৯৬ সালের কথা। আমি তখন পার্বত্য বান্দরবান জেলার রুমা অঞ্চলে অবস্থিত গ্যালেংগা নামক এক দুর্গম এলাকায় স্থাপিত সেনাক্যাম্পে মাত্র ৩০ জন সেনাসদস্য আর আনসার বাহিনীর ১৫ জন সদস্য নিয়ে নিয়োজিত ছিলাম। যে কোনো সময় তৎকালীন শান্তিবাহিনীর শত শত সদস্যের আক্রমণে জীবন হারানোর আশঙ্কাকে দূরে সরিয়ে এই অল্প কজনকে নিয়েই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাতদিন টহল দিচ্ছিলাম ও পাহাড়িদের সঙ্গে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। শান্তিবাহিনীর কোনো গোপন আস্তানার খবর পেলেই রাতের আঁধারে আঘাত হানতাম। আবার তাদের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ফাঁদ পেতে কাটিয়ে দিতাম দিনরাত ২৪ ঘণ্টা।

এক মাসে তিনবার ম্যালেরিয়া হলো। দুর্বল শরীর নিয়ে ক্যাম্পে পড়ে আছি। প্রচণ্ড বমি ও জ্বরের কারণে কোনো কিছু খেতে পারি না। কদিন আগে রুমা ক্যাম্পে থাকা ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে চির অন্ধ হয়ে যান। আমিও চোখে ঝাপসা দেখছি আর অজানা আশঙ্কায় বারবার আল্লাহকে ডাকছি। এমন সময় খবর এলো পার্শ্ববর্তী থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (টিএনও) বেশ কয়েকজনকে অপহরণ করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা শান্তিবাহিনী।

সংবাদ পাওয়া মাত্র রুমা থেকে আমাদের কমান্ডিং অফিসার সামরিক বেতার যন্ত্রে সৈন্যদের নিয়ে দ্রুত সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশনে বের হতে বললেন। ভুলতে হলো নিজের কথা। ওপর থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্য আর স্থানীয় সোর্সের কাছ থেকে পাওয়া সংবাদের ওপর ভিত্তি করে দিনরাত খুঁজতে থাকি সেই টিএনওকে। ম্যালেরিয়ায় কাবু হওয়া শরীরকে টেনে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। তবুও বারবার নিজেকে বলেছি ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’। অবশেষে অপহরণকারী এবং সম্ভাব্য গুপ্ত অবস্থান মোটামুটিভাবে জানা গেল। সেই এলাকা ঘিরে ফেলল আমাদের দলসহ চারদিক থেকে আসা বেশকিছু টহল দল। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অধিনায়ক নিজেই ছোট্ট একটা দল নিয়ে অতিগোপনে শত্রুর আস্তানা দিকে এগিয়ে গেলেন। গোলাগুলির এক পর্যায়ে টিএনওকে রেখে পালিয়ে গেল পাহাড়ি অপহরণকারীরা। উদ্ধার হলেন সেই টিএনও। আর পাহাড়ে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাহস পেলেন সেখানে চাকরি করার, তথা সরকারের অস্তিত্ব ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষাকল্পে সেনাবাহিনীর অবদান বলে বা লিখে শেষ করার মতো নয়। এর আগে মুক্তিযুদ্ধেও জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে সেনাবাহিনী। ১৯৭৩ সালেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করা সিরিয়ার মুসলমান সৈন্যদের চিকিৎসায় সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনীর চিকিৎসক ও তাদের সহকর্মীরা দামেস্কে নিয়োজিত হয়। দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশের সেনারা। ১৯৯০-৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েত পুনরুদ্ধার ও পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনা রক্ষায় অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী। যুদ্ধবিধ্বস্ত কুয়েত পুনর্গঠন, বিশ্বশান্তি রক্ষা, গৃহযুদ্ধকবলিত দেশে অস্ত্র-সমর্পণ ও বিরোধপূর্ণ বিভিন্ন দেশে নির্বাচন পরিচালনা প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ বিশ্বের বুকে এক আস্থার নাম এবং পেশাদার বাহিনীর মূর্ত প্রতীক। আবার দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও প্রভূত অবদান রাখছে সেনাবাহিনী।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও দেশের উন্নয়নমূলক কাজে সেনাবাহিনীর অবদান অপরিসীম। আমার তরুণ সহকর্মী ক্যাপ্টেন মাহফুজ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি রাস্তায় হঠাৎ ভূমি ধসে জমা মাটি সরাতে গিয়ে নিজেই মাটি চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করে। মাটি সরানোর পর রাঙামাটিতে আটকে পড়া পর্যটকরা আপনজনদের কাছে সুস্থ দেহেই ফিরে গেছেন। একজন ক্যাপ্টেন মাহফুজ ফিরেছেন লাশ হয়ে।

অতি সম্প্রতি হঠাৎ বন্যার সময় কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলে তরুণ সেনা অফিসার কর্তৃক কোমরসমান পানি ভেঙে কাঁধে করে খাবারের বস্তা বহন ও আটকে পড়া মানুষের মধ্যে বিতরণ কোনো লোক দেখানো নাটক ছিল না। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের উদ্ধারেও তারা ছিল আন্তরিক। যে অসীম ধৈর্য নিয়ে তরুণ অফিসাররা উত্তেজিত ছাত্রজনতা বিশেষত, যারা পুলিশের থানা বা রাস্তা অবরোধ করেছিল, তাদের শান্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তা অতীতে কেউ কল্পনা করেছে কি না সন্দেহ। একটু আগেই টেলিভিশনে দেখেছি তিব্বত কেমিক্যাল কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে ‘মব জাস্টিস’ তথা গণপিটুনি থেকে বাঁচানোর জন্য উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে এক তরুণ অফিসার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি শিক্ষক ও ছাত্রদের কাছে সড়ক অবরোধ তুলে অন্তত আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের ব্যবস্থা করতে, তথা একটি জীবন বাঁচাতে আকুতি জানাচ্ছে আরেক তরুণ অফিসার। অন্যদিকে বিভিন্ন পদক ও স্বীকৃতিমূলক চিহ্নসংবলিত পোশাক পরিহিত এক অফিসারকে দেখেই বোঝা গেল তিনি কমান্ডো অফিসার, যিনি প্যারাসুট নিয়ে আকাশ থেকে ঝাঁপ দিতে জানেন এবং পানির নিচে যুদ্ধ করতে সক্ষম। এ ধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাহসী সেনারা কোনো অস্ত্র ছাড়া কেবল নিজের হাত-পা ব্যবহার করেই অস্ত্রসমেত শত্রুকে ঘায়েল করতে পারে এবং একাই ২০-৩০ জন ক্রুদ্ধ জনতাকে মোকাবিলা করতে পারে। অবাক হয়ে দেখলাম নিরহংকার সেই অফিসার শান্তভাবে সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন তারা যেন দাবি আদায়ের নামে জনদুর্ভোগ তৈরি না করেন। এমন অসংখ্য উদাহরণে সমৃদ্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

তবে দুঃখের বিষয়, এসব কিছু পাশ কাটিয়ে কিছু মানুষের চোখে পড়ে কেবল সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্যের অপকর্ম। তারা পালিয়ে যাওয়া জেনারেল মুজিবকে চেনেন, কিন্তু ক্যাপ্টেন মুজিব (চিকিৎসক) কে চেনেন না, যিনি একহাতে স্টেনগান আর অন্য হাতে চিকিৎসাসামগ্রী নিয়ে একাত্তরে জীবন বাজি রেখে শত্রুর জীবন নাশ করেছেন এবং নিজ পক্ষের মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। তারা একজন বিতর্কিত জেনারেল জিয়াউল আহসানকে দেখে ভুলে গেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়ার কথা, যার ঘোষণায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনী ও জনতা মুক্তিযুদ্ধে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল। ডিজিএফআইয়ের জেনারেল হামিদ যেমন সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন, তেমনি একজন সদস্য ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান, যিনি নিশ্চিত মৃত্যু মেনে নিয়েছিলেন দেশের জন্য। এমন শত সহস্র উদাহরণে সমৃদ্ধ আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস। আর ইতিহাস এটাও সাক্ষ্য দেয় যে, দেশের জন্য জীবন দিতে পারা এমন শত সহস্র সেনাসদস্যদের আঁতুড়ঘর একেকটি সেনানিবাস।

বলাবাহুল্য গৌরবের পরম্পরায়ই গড়ে ওঠে যে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সেনাবাহিনীর মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। আমরা সত্তর-আশি ও নব্বই দশকের সেনা অফিসাররা শিখেছি সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অনুকরণীয় সিনিয়রদের কাছ থেকে। আমাদের থেকে শিখেছে পরের প্রজন্ম। আর এই পরের প্রজন্মের হাতে গড়ে উঠেছে আজকের তরুণ সেনারা, যাদের নিয়ে আমরা গর্ব অনুভব করি। এখানে লক্ষণীয় যে, যুগে যুগে সেনাসদস্যরা গড়ে ওঠে সেনানিবাসে। আজ মাঠেঘাটে ছড়িয়ে থাকা সেনাসদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শেষে সেনানিবাসেই ফিরে যাবে। সেনানিবাসে কেবল তথাকথিত আয়নাঘর, বিতর্কিত কিছু অফিসারের অফিস বা বাসভবনই থাকে না, থাকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, হাসপাতাল, পাঠাগারসহ বহুমাত্রিক স্থাপনা।সেখানে সেনাসদস্যদের পাশাপাশি বাস করে কয়েক লাখ সেনা পরিবার ও বেসামরিক জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এখন যে বা যারা ক্যান্টনমেন্ট উড়িয়ে দেওয়ার হুংকার ছাড়ছেন, তারা সেনানিবাসের কোন কোন স্থাপনা উড়াবেন— তার কি কোনো তালিকা করেছেন? বিশেষত কষ্ট পাই যখন কোনো আইনজীবী এমন কথা বলেন। কারণ আইনজীবীরাই আইনের শাসনের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার কথা। আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত একজন আইনজীবীর কণ্ঠে ক্যান্টনমেন্ট উড়িয়ে দেওয়া তথা মব জাস্টিসকে উৎসাহিত করার ঘোষণা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য।

পৃথিবীর সব পেশাজীবীর মাঝে বিপথগামী, দুর্বৃত্ত, অপরাধী, স্বার্থান্ধ ও দুর্নীতিবাজ বাস করে। তাই বলে সেই পেশার আঁতুড়ঘর উড়িয়ে দেওয়া বা সেই পেশা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা কোনো যুক্তিসংগত সমাধান নয়। পালিয়ে যাওয়া বিচারকদের ওপর প্রতিশোধ নিতে কেউ যদি বিচারকদের প্রশিক্ষণ একাডেমি বা বিচারালয় উড়িয়ে দিতে চায়, তাকে কী বলা যায়? বিগত ১৬ বছরের কুখ্যাত আইনজীবীদের অপরাধের দায় কি তরুণ আইনজীবী, আইন কলেজসমূহ কিংবা বার কাউন্সিল বহন করবে? একজন অভিনেত্রী কিংবা মডেলের হানিট্র্যাপ বাণিজ্যের কারণে কি এফডিসি কিংবা টেলিভিশন সেন্টার উড়িয়ে দেওয়া যায়? তাই সব পেশা ও পেশাজীবীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং একজন অপরাধীকে পেশার ঊর্ধ্বে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা একান্ত কাম্য। আজ একজন পতিতাকেও সম্মানের কথা আলোচিত হয়। আর ‘পশুর বাচ্চা’ কিংবা ‘কেরানি’ বলে তাচ্ছিল্য করা হয় অন্য পেশার মানুষকে, যারা এ মাটিরই সন্তান।এমন প্রবণতা দুঃখজনক।

আজকের তরুণ সেনা অফিসারদের আদর্শ একজন মানবিক সেনাবাহিনী প্রধান। ধর্মপ্রাণ জেনারেল ওয়াকার উজ জামান সততা, নিষ্ঠা, পারিবারিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের মূর্ত প্রতীক। বিশ্ব দরবারে আগেকার সেনাপ্রধানদের কলঙ্কিত পারিবারিক ইতিহাস ও দুর্নীতির বিপরীতে সেনাবাহিনী এমন একজন সেনাপ্রধান পেয়েছে, যিনি ভারসাম্য বজায় রেখেছেন এবং শত প্রতিকূলতার মাঝেও সেনাবাহিনীর ঐক্য ও শৃঙ্খলা ধরে রেখেছেন। তার সততা, ধৈর্য ও পরিপক্বতা মাঠপর্যায়ের তরুণ সদস্যদের মাঝেও সংক্রমিত হয়েছে বলে তারা শান্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন। কারণ নেতার গুণ সেনাবাহিনী পরিচালনায় প্রভাব ফেলে। যারা বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে নির্বিচারে বিষোদ্গার করছেন, তারা কি একবার ভেবে দেখবেন ৫ আগস্টের পর বন্দি হওয়া, পালিয়ে যাওয়া বা বরখাস্ত হওয়া জেনারেলদের কাউকে যদি সেনাপ্রধান করা হতো, তবে দেশের পরিস্থিতি কি হতো?

সম্প্রতি কাতারে বাংলাদেশের ৭২৫ জন সেনাসদস্য নিয়োজিত করার সুযোগ এসেছে। একইরকম সুযোগ এসেছিল ১৯৯০-৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পর। এই যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি সেনাদের শৃঙ্খলা ও পেশাগত মান দেখে সৌদি আরবের তৎকালীন যুবরাজ ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (পরবর্তী সময়ে সৌদি বাদশা) মুগ্ধ হয়েছিলেন। এক সেনা সমাবেশে তিনি বাংলাদেশি সেনাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, তোমরা আমাদের বাঁচাতে রক্ত দিতে এসেছ। তোমরা আমাদের রক্তের ভাই। তখন বাংলাদেশি সৈন্যদের সৌদি আরবের রাজপ্রাসাদ ও আরও কিছু স্থাপনা নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করার আলাপ হচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী কিছু দেশ তখন আমাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধাচারণ করে বলে জানা যায়। বিশেষত তারা সেনাসদস্যদের হাতে দুজন রাষ্ট্রপতিসহ বেশ কজন সিনিয়র অফিসার হত্যার উদাহরণ তুলে ধরে। ফলে ভেস্তে যায় সে সম্ভাবনা। এখন কাতারে ৭২৫ জন সেনাসদস্য নিয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনাকে সফল করতে হলে সেনাবাহিনী ও সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য অবশ্যই পরিহার করতে হবে। তুলে ধরতে হবে সেনাবাহিনীর গৌরব ও পরম্পরা।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত মেজর। গবেষক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

ইমেইল: [email protected]

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আরও একটি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ছুটির ৩ দিনে ঢাকায় টানা সমাবেশ

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল বৃদ্ধের

পাকিস্তানে হামলার শঙ্কা, দুই দেশের নেতাদের ফোন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কুতুবদিয়ায় কাফনের কাপড় পরে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি

আবারও ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি, তীব্র উত্তেজনা

মাটি কাটার দায়ে ৮ জনের কারাদণ্ড

ঢাকায় আজও বইছে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস

কলকাতার হোটেল ভয়াবহ আগুন, নিহত ১৪

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতা থেকে সরে আসার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

১০

নাতনিকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

১১

বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১

১২

গাজায় আরও অর্ধশতাধিক নিহত, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা অনেকে

১৩

কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

১৪

তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই : ফারুকী

১৫

শেষ হয়েছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ ধরতে প্রস্তুত ভোলার জেলেরা

১৬

পাট শ্রমিক দলের সভাপতি হলেন সাঈদ আল নোমান

১৭

সাতক্ষীরায় বিএনপির সার্চ কমিটিতে আ.লীগ নেতারা

১৮

৩০ এপ্রিল : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৯

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

২০
X