কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সংগ্রামের ইতিহাস, আত্মদর্শনের মুহূর্ত

প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম
সংগ্রামের ইতিহাস, আত্মদর্শনের মুহূর্ত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দীর্ঘ যাত্রাপথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের অস্থিরতা, শেখ মুজিবের একদলীয় authoritarian rule এবং নাগরিক স্বাধীনতার সংকটের মধ্য দিয়ে যখন জাতি দিশেহারা, তখন ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীরউত্তম) নেতৃত্বে বিএনপির আবির্ভাব ঘটে। এই আবির্ভাব ছিল শুধু একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম নয়; এটি ছিল জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রত্যয়। একাত্তরে যুদ্ধের ময়দানে ‘We revolte’ বলে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতি আনুগত্য ভেঙে ফেলেছিলেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন আন্দোলন নয়, বরং একটি সশস্ত্র বিদ্রোহ, যার লক্ষ্য স্বাধীনতা। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি ছিল একটি সাহস জোগানো ঘোষণা—একজন মেজর প্রকাশ্যে জানালেন, তারা পাকিস্তানি সেনাদের ছেড়ে বিদ্রোহ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের আরেকটি বিখ্যাত ঘোষণা ছিল—‘এতদিন আমরা কেবল স্বাধীনতার কথা শুনেছি, এবার স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে।’ এ উক্তি শুধু স্লোগান ছিল না; এটি ছিল political mobilization rhetoric—যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে সক্রিয় সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তার দৃষ্টিতে স্বাধীনতা মানে শুধু ভৌগোলিক মুক্তি নয়, বরং রাষ্ট্র গঠনের দায়িত্ব। তাই স্বাধীনতার পর তিনি বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা এসেছে, কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে এখনো অনেক কাজ বাকি।’ এটি নিছক অভিব্যক্তি নয়; বরং এক ধরনের post-colonial nation building discourse, যেখানে রাষ্ট্র শুধু স্বাধীন থাকে না; বরং উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।

যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন, তার শাসনের অধীনে দীর্ঘদিনের শূন্যতা পূরণ করতে হলে প্রয়োজন একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যার মূল দর্শন হবে জনগণকেন্দ্রিক। তাই বিএনপি গঠিত হয় party ideology-র ওপর—জাতীয় স্বাধীনতা, বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও গ্রামীণ উন্নয়ন। এ দর্শন ছিল পূর্ববর্তী শাসনের এককেন্দ্রিক সমাজতান্ত্রিক নীতির বিকল্প, যেখানে কৃষক-শ্রমিক থেকে শুরু করে ছাত্র-যুবক পর্যন্ত সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা ছিল। জিয়া উপলব্ধি করেছিলেন, রাজনীতির কেন্দ্রে থাকতে হবে জনগণকে। জিয়ার একটি বিখ্যাত উক্তি ছিল—‘রাজনীতি মানে জনসেবা।’ এ দর্শনের ভিত্তিতে বিএনপি গড়ে তোলে শক্তিশালী grassroots mobilization, ইউনিয়ন থেকে শহর পর্যন্ত সংগঠন বিস্তার করে বিএনপি দ্রুতই জনগণের আস্থা অর্জন করে। কৃষি সংস্কার, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন, শিক্ষা সম্প্রসারণের মতো কর্মসূচি তাদের জনপ্রিয়তা আরও সুসংহত করে। এর ফলে বিএনপি শুধু শহুরে রাজনৈতিক শক্তিই নয়, বরং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীরও আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠে। বিএনপির দর্শনকে তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন জনগণকেন্দ্রিক ভাষায়—‘বাংলাদেশের রাজনীতি মানে জনগণের রাজনীতি এবং জনগণের জন্যই আমরা কাজ করি।’ রাজনৈতিক বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটি people centric populism 3 participatory democracy-র প্রকাশ, যেখানে জনগণই রাজনীতির মূল মালিক। এভাবে জিয়াউর রহমান একদলীয় কেন্দ্রভিত্তিক শাসনের বিকল্প হিসেবে bottom-up legitimacy প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫-এর ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের শাসনক্ষমতা মনে রেখে জিয়া উচ্চারণ করেছিলেন, ‘সামরিক শাসন নয়, গণতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের উন্নতি সম্ভব।’ এটি ছিল স্পষ্ট anti-authoritarian discourse, যা গণতান্ত্রিক উন্নয়ন মডেলের (developmental democracy model) প্রতি তার অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। রাষ্ট্রক্ষমতা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে—এ ধারণাই তাকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার দিকনির্দেশক করে তোলে। জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে তার দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ পায় এই উক্তিতে—‘আমাদের সকলকে একত্রিত হতে হবে, একমাত্র ঐক্যেই রয়েছে শক্তি।’ এখানে তিনি যে political unification strategy-র কথা বলেছেন, তা শুধু দলীয় সংহতির নয়; বরং একটি collective national identity formation-এর অংশ, যেখানে ঐক্যকে রাজনৈতিক শক্তির উৎস ধরা হয়।

আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল অনমনীয়—‘বাংলাদেশের জনগণ কখনো অন্যায়ের সামনে মাথানত করবে না।’ এটি এক ধরনের political resistance ideology, যা জনগণকে স্বৈরাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেছে। ন্যায়বিচার ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার প্রশ্নে জিয়ার অবস্থান ছিল স্পষ্ট। তিনি বলেছিলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করা যাবে না, রাজনীতি ও প্রশাসনে ন্যায়পরায়ণতা অপরিহার্য।’ এ বক্তব্য রাজনৈতিক বিজ্ঞানে rule of law discourse-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

রাষ্ট্রক্ষমতার বৈধতা শুধু জনগণের সমর্থন নয়; বরং আইন ও ন্যায়বিচারের ওপরও প্রতিষ্ঠিত হতে হবে—এটি ছিল তার মূল বার্তা। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমরা সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।’ এটি তার egalitarian vision ও social justice paradigm-এর প্রতিফলন, যেখানে রাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে পরিচালিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তিনি একটি দৃঢ় জাতীয় চরিত্র গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তার দৃষ্টিতে জাতীয় সার্বভৌমত্ব মানে শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতা নয়; বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র প্রয়োজন, জনগণকে সঙ্গে নিতে হলে grassroots mobilization অপরিহার্য এবং রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হলে জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন থাকতে হবে।

১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড বিএনপির জন্য ছিল এক existential crisis, নেতৃত্বহীনতা, দমননীতি ও বিভেদের মধ্যে দলটি টিকে থাকার চ্যালেঞ্জে পড়ে। কিন্তু আপসহীন নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি পুনর্গঠিত হয় এবং ১৯৮০-র দশকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থান বিএনপির নেতৃত্বেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ছিল গণতান্ত্রিক যাত্রার এক মাইলফলক। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাস রচনা করেন। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন, অর্থনৈতিক উদারীকরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দৃঢ় পররাষ্ট্রনীতি ছিল বিএনপির উল্লেখযোগ্য অর্জন।

একবিংশ শতকে প্রবেশ করে বিএনপি নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। বৈশ্বিক পরিবর্তন, প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি ও তরুণ প্রজন্মের চাহিদা মোকাবিলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে organizational reform শুরু হয়। 31-point reform agenda-তে দলীয় শৃঙ্খলা, আধুনিকায়ন ও যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে এ সময় বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভুগেছে state repression-র কারণে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক মামলা, গ্রেপ্তার, আন্দোলনের ওপর বিধিনিষেধ—সব মিলিয়ে দলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তবুও বিএনপি একটি কার্যকর ও জনপ্রিয় দল হিসেবে টিকে আছে, যা দলের স্থিতিস্থাপকতা ও আদর্শের প্রতি অঙ্গীকারেরই প্রমাণ।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন চরম উত্তেজনা ও প্রত্যাশার জায়গায় পৌঁছেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে ঘোষিত হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন ও গণআন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার যে লড়াই বিএনপি চালিয়ে এসেছে, এ নির্বাচন তারই পরিণতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশের সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করে, এ নির্বাচন হবে পরিবর্তনের নির্বাচন। বিগত সময়ে জনগণ যে বঞ্চনা, দুর্নীতি, স্বৈরতান্ত্রিক শাসন এবং অর্থনৈতিক সংকটে ভুগেছে, তা থেকে মুক্তি পেতে তারা বিএনপির প্রতি আস্থা রাখছে। তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে গ্রামীণ জনগণ—সব শ্রেণির ভোটারদের আশা, বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একটি গণতান্ত্রিক ও জনগণের সরকার গঠনের অঙ্গীকার করছে। তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিতকরণ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে ব্যাপক সংস্কার, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে আগামী সরকারের অন্যতম কাজ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বিএনপির জন্য শুধু স্মৃতিচারণ নয়; এটি আত্মসমালোচনা ও নতুন অঙ্গীকারের দিন। এই দিনে পুনর্নবায়িত হয়—জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের প্রতিজ্ঞা, জিয়াউর রহমানের গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণের অঙ্গীকার, জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় সংকল্প, grassroots mobilization আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।

বস্তুত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিএনপির ভূমিকা এক মহাকাব্যের মতো। এটি একদিকে struggle against authoritarian rule; অন্যদিকে জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। দমনপীড়ন, কারাবরণ ও রাজনৈতিক সংকট সত্ত্বেও দলটি প্রমাণ করেছে—political legitimacy অর্জন শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার মাধ্যমে নয়; বরং জনগণের আস্থা ধরে রাখার মধ্য দিয়েই সম্ভব। দলের মূল নীতি—গণতন্ত্র, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও জনগণের কল্যাণ; আজও রাজনৈতিক অঙ্গনে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

লেখক: সাবেক চেয়ারম্যান, থিয়েটার ও পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিআইডির ওপর হামলা, যুবক আটক

শুল্কের প্রভাব কমাতে এসি, চা ও স্কুল সরঞ্জামের দাম কমাচ্ছে ভারত

আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্নের কথা জানালেন জামায়াত আমির

গুরুতর অভিযোগে আর্জেন্টিনাকে কোটি টাকার জরিমানা ফিফার

সুরমা নদীতে ভাসছিল জমিয়ত নেতার মরদেহ

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার পেছনে অস্ত্র হিসেবে পানি ব্যবহার করছে ভারত? 

অশ্লীল স্পর্শের শিকার অক্ষয় কুমার

শিশু তাসনুহার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

‘ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে কাদের জায়গা নিশ্চিত?’, উত্তর দিলেন আনচেলত্তি

১০

ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন

১১

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হলো 

১২

ইঁদুরের কামড়ে হাসপাতালে প্রাণ গেল নবজাতকের

১৩

যে ৮ কারণে মুখের চামড়া কুঁচকে যায়

১৪

মোবাইল চার্জ দেওয়ার সঠিক সময় কখন?

১৫

বিয়ের ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের দায়ে যুবকের ২০ বছর কারাদণ্ড 

১৬

মুগ্ধতায় মিম

১৭

এক নজরে দেখে নিন এশিয়া কাপের ৮ দলের স্কোয়াড

১৮

এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের সেরা একাদশ বাছাই করলেন আকাশ চোপড়া

১৯

ফেসবুকে কোন সময়ে পোস্ট দিলে বেশি ভিউ পাওয়া যায়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

২০
X